কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

নেতাদের ডাকা ধর্মঘটের দায় টানছেন কর্মীরা – দৈনিক সমকাল

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০১৭, ২৩:৪৮
আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭, ২৩:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) পরিবহন নেতাদের ডাকা কর্মসূচির দায় টানতে হচ্ছে কর্মী ও আঞ্চলিক নেতাদের। দু'দিনের ধর্মঘটে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের মামলায় আসামি হয়েছেন তারা। গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের অনেকেই। কোনো কেন্দ্রীয় নেতার নামে মামলা হয়নি। তারা সহিংসতার দায় নিতেও রাজি নন।

৩ মার্চ শুক্রবার দৈনিক সমকালে ‘নেতাদের ডাকা ধর্মঘটের দায় টানছেন কর্মীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠেছে।  

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নেতারা বলছেন, তারা রাস্তা বন্ধের নির্দেশ দেননি। স্থানীয়ভাবে কর্মীরা অতি উৎসাহী হয়ে একটি দলের ইন্ধনে সহিংসতা করেছেন। এর দায় তাদেরই ভোগ করতে হবে। তবে নেতারা স্বীকার করেছেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক কর্মসূচি দিয়ে শ্রমিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে গাবতলী টার্মিনাল এলাকায় সহিংসতা, পুলিশের গাড়ি ও বক্সে আগুন দেওয়ার অভিযোগে পরিবহন শ্রমিকদের নামে তিনটি মামলা হয়েছে। ঢাকা আন্তঃজেলা ট্রাক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলামসহ ৪৭ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার ২০০ শ্রমিককেও আসামি করা হয়েছে। কোনো কেন্দ্রীয় নেতাকেই আসামি করা হয়নি।

গাবতলী টার্মিনাল এলাকার এক নেতা জানান, এজাহারে যেসব নেতার নাম রয়েছে তাদের পুলিশ খুঁজছে। তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২শ' শ্রমিককে। গ্রেফতারের ভয়ে অনেক শ্রমিক টার্মিনালে আসছেন না। শ্রমিকদের পক্ষে এভাবে পালিয়ে থাকা সম্ভব নয়। ধর্মঘটের দু'দিন তারা মজুরি পাননি। শ্রমিকরা দৈনিক মজুরিতে পেট চালান। আরও কয়েক দিন কাজে যোগ দিতে না পারলে উপোস করতে হবে।

পরিবহন খাতের আঞ্চলিক নেতারা পত্রিকাটিকে নিশ্চিত করেছেন, মন্ত্রীর (শাজাহান খান) বাসায় অনুষ্ঠিত সভার পরই যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা আসে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে। টেলিফোনে জেলায় জেলায় এ নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারাই।

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু স্বীকার করেন, আঞ্চলিক নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয় কর্মবিরতি পালন করতে। তার দাবি, শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি পালনে নির্দেশনা ছিল শীর্ষ নেতাদের। সহিংসতা করতে মানা ছিল। একই দাবি করেন আরেক সহসভাপতি আবদুল ওয়াদুদ নয়ন।

আবদুর রহিম দুদু স্বীকার করেন, তাদের কর্মসূচি দেওয়া উচিত হয়নি। তিনি পত্রিকাটিকে বলেন, ‘আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যায় না। এটা আমাদের একটা ভুল হয়ে গেছে।’

সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা হলে মামলা তো হবেই। এখানে কারও কিছুই করার নেই।’

আবদুর রহিমও বলেন, তাদের এ ক্ষেত্রে এখন কিছুই করার নেই। পরিস্থিতি শান্ত হলে, পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তিনি জানান, আপাতত আন্দোলন ছেড়ে আইনি লড়াইয়ের পথে যাচ্ছেন তারা। দণ্ডিত দুই চালককে মুক্ত করতে আদালতে লড়বেন। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত