কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

শ্রমিক ধর্মঘটে সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগ চরমে

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫৪
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫৪

গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ। তোপখানা রোডে কোনো গাড়ি নেই। ছবি: ফোকাস বাংলা

(প্রিয়.কম) তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর নিহতের ঘটনায় মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া বাসচালক জামির হোসেন এবং সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ট্রাকচালক মীর হোসেনের মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন শ্রমিকরা।

রাজধানী ঢাকা থেকে সারাদেশের সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে বাসসহ সব ধরনের পাবলিক পরিবহন অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে জড়ো করে রাখা গাড়ি। ছবি: ফোকাস বাংলা

২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পরিবহন ধর্মঘট বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী  শাজাহান খানের বাসায় শ্রমিক নেতাদের বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে ট্রাকচালক মীর হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের খবর পৌঁছালে সারাদেশে ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

তারও কয়েকদিন আগে থেকেই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর নিহতের ঘটনায় মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া বাসচালক জামির হোসেনের সাজা বাতিলের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।

গন্তব্যে ফেরার জন্য অপেক্ষায় চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দারা। ছবি: স্টার মেইল

দেশব্যাপী এ পরিবহন ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব যান চলাচল। ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদসহ অন্যান্য পয়েন্ট থেকে আন্তঃজেলা কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ঢাকাতেও আসেনি দূরপাল্লার কোনো বাস।

এদিকে রাজধানীতে চলাচলকারী বিভিন্ন গন্তব‌্যের বাস চলাচলে মঙ্গলবার দিনভর বাধা দিয়েছেন রাজধানীর পরিবহন শ্রমিকরা। গাবতলীতে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েছেন তারা।

ট্রাক ধর্মঘটে বেনাপোলে বন্দরে আটকা পড়ে আছে শত শত ট্রাক। ছবি: স্টার মেইল

দেশের বিভিন্ন এলাকায় গমনেচ্ছু সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। রাজধানীর সব এলাকায় সারাদিন ঘরমুখো ও কর্মজীবী মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকারি হয়েছেন। তবে দিনে অল্পসংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও সেগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।

সড়ক পথের এ অচলাবচস্থার কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে ট্রেনে দূরের গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। অনেকেই কাছে বা রাজধানীর ভেতরে চলাচল করেছেন ক্যাব, ট্যাক্সি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। তবে এসব ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  

সড়কপথে গাড়ি বন্ধ রাখার বিষয়ে গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের একাধিক পরিবহন ম্যানেজার ও মালিক জানিয়েছেন, চালক ও শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে রাজি নয়। ফলে বন্ধ রাখতে হচ্ছে গাড়ি।

চট্টগ্রাম, রাজশাহী,সিলেট, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, পিরোজপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন রুটে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন গাড়ি। একই অবস্থা দেশের প্রায় সব জেলায়।

অনেকসময় পর তোপখানা রোডে একটি বাসের দেখা। তাতেই বাদুরঝোলা হয়ে মানুষ। ছবি: ফোকাস বাংলা

অন্যদিকে, গাবতলীতে বিকেল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যায় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে রাত ৮টা ৫ মিনিটে বাস টার্মিনালের পাশে পুলিশের একটি র‌্যাকার ভ্যানে আগুন দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।

দণ্ড পাওয়া দুই বাস চালকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিকেলে গাবতলীতে এক সমাবেশে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, দুই চালককে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন শ্রমিকরা।

প্রিয় সংবাদ/সোহেল/রিমন