কবি সুফিয়া কামাল। ছবি: সংগৃহীত।
আজ কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:১৮
(প্রিয়.কম) ‘তুলি দুই হাত করি মোনাজাত, হে রহিম রহমান, কত সুন্দর করিয়া ধরণী, মোদের করেছ দান’। কী? বাল্যবেলার কথা মনে পড়ে গেল? এমনি অনেক শিশুতোষ কবিতা মিশে আছে আমাদের শৈশব স্মৃতিতে। সেই স্মৃতির পরিধির যারা এঁকে দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেই একজন হচ্ছেন প্রয়াত কবি সুফিয়া কামাল। দেশের সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা কবি সুফিয়া কামালের আজ ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৯৯ সালের এই দিনে মারা গিয়েছেন।
বরিশালের শায়েস্তাবাদে ১৯১১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তিনি মূলত তাঁর মামা বাড়িতে জন্মেছিলেন। তাঁর মাতৃকুল ছিল নবাব পরিবার। পরিবারের কথ্যভাষা ছিল উর্দু, আর তাই অন্দর মহলের নারীরা আরবি কিংবা ফারসি ভাষা শিক্ষার সুযোগ পেলেও, বাংলা সেখার সুযোগ পেত না। কিন্তু সুফিয়া কামাল তাঁর মা সৈয়দা সাবেরা খাতুনের কাছ থেকে বাংলাভাষা রপ্ত করে নিয়েছিলেন।
কবি সুফিয়া কামাল। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই মামাত ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুফিয়া কামালের। তাঁর স্বামী অন্যান্যদের তুলনায় আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনিই সুফিয়া কামালকে সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করেছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বিয়ের মাত্র দুবছর পর, ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় সেসময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে। ত্রিশের দশকে কলকাতায় অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও শরৎচন্দ্রের মতো খ্যাতিমান লেখকদের সান্নিধ্য পান সুফিয়া কামাল। তারপর থেকেই পুরোদমে শুরু হয় তাঁর লেখালেখি জীবন। জীবদ্দশায় সুফিয়া কামাল রচনা করেছেন বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থ। সেগুলো হচ্ছে- ‘সাঁঝের মায়া’, ‘মায়া কাজল’, ‘মন ও জীবন’, ‘প্রশস্তি ও প্রার্থনা’, ‘উদাত্ত পৃথিবী’, ‘দিওয়ান’, ‘অভিযাত্রিক’, ‘মৃত্তিকার ঘ্রাণ’ এবং ‘মোর জাদুদের সমাধি পরে’।কাব্য ছাড়াও সুফিয়া কামাল লিখে গিয়েছেন গল্প, ভ্রমণ কাহিনি, স্মৃতি কথা ও শিশুতোষ সাহিত্য। তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৬ সালে পেয়ছেন একুশে পদক। মৃত্যুর দুবছর আগে তিনি লাভ করেছেন স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়াও আরও অনেক পদকে সম্মানিত করা হয়েছে তাকে।
প্রিয় বিনোদন/গোরা