(প্রিয়.কম) ঢাকা-২০ আসন ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য এমএ মালেক ও তার স্ত্রী মিনা মালেকের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকাবাসীর ব্যানারে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন করানোর অভিযোগ উঠেছে। ১৮ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে ধামরাইয়ের থানা রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধনে অংশ নেয়ার কথা বলে চ্যানেল নাইনের বিরুদ্ধে ব্যানার টানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়।

জানা গেছে, ধামরাইয়ে সংসদ সদস্য এম এ মালেক, তার স্ত্রী মিনা মালেক ও তার মেয়ের জামাতা শাহিনের বিভিন্ন দখলবাজি আর দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন সংবাদ প্রকাশ করে। এরপরই ক্ষেপে যান সাংসদের স্ত্রী মিনা মালেক। তিনি প্রথমে হুমকি ও পরে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি আশুলিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীরা সাংসদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করলে সে সময় এমপি মালেক ও তার মেয়ের জামাই শাহিন প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিক নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন। কিন্তু ১০ দিনেও সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি মিনা মালেকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা আবার কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা দেশের গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে স্থান পায়।

তারই জেরে নিজের সাফাই গাইতে এমপি মালেক ১৮ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ধামরাই থানা রোডে এলাকাবাসীর ব্যানারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কিন্তু সকাল ১০টায় মানববন্ধনে কোনো লোকজন না হওয়ায় ধামরাই কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধনে অংশ নিতে আহ্বান জানান। পরে ক্লাস বন্ধ রেখে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে মানববন্ধন জঙ্গিবিরোধী না হয়ে চ্যানেল নাইনের বিরুদ্ধে কেন-এমন প্রশ্ন তুলে অনেকেই চলে যান।

এ প্রসঙ্গে ধামরাই কলেজের শিক্ষার্থী আঁখি বলেন, ‘কেন মানববন্ধন জানি না। ক্লাসে গিয়ে বড় ভাইয়া আমাদের ক্লাস থেকে বের করে এনে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। আর কিছু জানি না ‘

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, স্যাররা ক্লাস ছুটি দিয়েছেন, তাই এখানে এসেছি। জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধন বলেছে, অথচ এসে দেখি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, যা দুঃখজনক।

এ বিষয়ে ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, অফিসিয়াল কোনো ক্লাস বন্ধ ছিল না। আর চ্যানেল নাইনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের বিষয়টিও তিনি আগে থেকে জানতেন না। তবে কিছু ছাত্র যেতে পারে জানিয়ে এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

প্রিয় সংবাদ/হিরা/আজাদ চৌধুরী