শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি পরিদর্শনে ওবায়দুল কাদের।
এই সমাবেশ হবে তাদের, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে: কাদের
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৩০
(প্রিয়.কম) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সমাবেশ (১৮ নভেম্বরের জনসভা) হবে তাদের, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে।
১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তখন নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো।
এ স্বীকৃতির উদযাপনেই শনিবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে স্বাধীনতার উদ্যান সোহরাওয়ার্দীতে, যেখানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে লেখা হয়েছিল বাঙালির মুক্তির দলিল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ভাষণ নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছিলেন ‘স্বাধীনতা- এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’। নাগরিক সমাবেশের মঞ্চে কবি সেই কবিতাটি পাঠ করবেন বলে ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক হারুন-অর রশিদ জানান, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিট্রিস কালদুল নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ইউনেস্কোর প্রতিনিধির হাতে একটি ধন্যবাদ স্মারকও তুলে দেবেন।
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল জানান, আলোচনা ছাড়াও সমাবেশে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। নির্মলেন্দু গুণ ছাড়াও সেখানে আবৃত্তি করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সমবেত সংগীতের পর শুরু হবে একক সংগীত। কিরণ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী চন্দনা মজুমদার লোক গাইবেন। রবীন্দ্র সংগীত শোনাবেন সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শিল্পী সাজেদ আকবর।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থাকবেন অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী।
নাগরিক সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ বানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সামনে থাকছে আলাদা একটি মঞ্চ।
এ নাগরিক সমাবেশ সফল করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্পাদকমণ্ডলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলাদাভাবে সভা করেছে। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোও আলাদাভাবে প্রস্তুতি সভা করেছে।
প্রিয় সংবাদ/হিরা/কামরুল