কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাবনাজ সাদিয়া ইমি। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম

বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষেপলেন মডেল ইমি

কুদরত উল্লাহ
সহ-সম্পাদক, বিনোদন
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:১৪
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:১৪

(প্রিয়.কম) সবাই তাকে মডেল ইমি নামেই চেনেন। তবে নিজেকে শুধু মডেলিংয়েই আটকে রাখেননি এই তারকা। অভিনয়েও আছে তার কাজের স্বাক্ষর। সম্প্রতি এই মডেল ও তার পরিবার একটি বিব্রতকর ঘটনার মুখোমুখি হলেন দেশের অন্যতম হাসপাতাল বারডেমে [বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এন্ডোক্রাইন ও মেটাবলিক ডিজঅর্ডার গবেষণা ও পুনর্বাসন সংস্থা] 

তিনি ঘণ্টাখানেক আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানালেন কীভাবে তাকে ও তার পরিবারকে বারডেম হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষ হেনস্থা করেছে। প্রিয়.কম এর পাঠকের জন্য হুবহু ইমির দেওয়া সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল এখানে। 

‘হায়রে বারডেম, না জানি তোমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কত সাধারণ মানুষকে হেনস্থা কর,অবহেলা কর ভূল চিকিৎসা দাও যা তারা জানেও না। তুমি জেনে রাখ অামার বাবার ডায়াবেটিস বিধায় তোমাদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া কোন এক দূর্বিষহ সময়ে। গিয়েছি বলেই জানি তোমরা জরুরি বিভাগে মুমূর্ষু রোগী অামার বাবাকে ফিরে দেখনি, হেনস্থা করেছো, অবহেলা করেছো একজন জ্ঞানী মানুষের অপারগ অবস্থাকে। তোমাদের ডাক্তাররা রোগীর অঙ্গ পচে যাওয়ার পর উপর লেভেলের ফোন অাসলে এপেয়নমেন্ট দেয়, ইমারজেন্সীর অামার মুমূর্ষু বাবাকেও উপর থেকে ফোন দিয়ে তোমাদের ভর্তির অাদেশ নিতে হয়েছে। কারণ তোমরা মুমূর্ষু রোগীর চিৎকার শুনতে পাও না। যাই হোক অামার বাবার যা মানসিক ক্ষতি হয়েছে তা এখনও চলমান আপনাদের এই অবহেলার ভূল চিকিৎসায় পরিবারের প্রতিটি মানুষ অর্ধমৃত প্রায়। ওহ্ বারডেম অাপনাদের নিয়ে তো অাবার কিছু বলা যায় না সত্যি তো অাপনারা তো ক্ষতি করতেই পারেন। হ্যাঁ অামি এই দেশের একজন সাধারণ মানুষ কী ক্ষতি করবেন করেন। কিন্তু মনে রাখবেন অামার সবচেয়ে বড় শক্তি, সম্পদ অামার বাবা। অাপনাদের কারণে তিনি অলরেডি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে। তো অামি অার কী হারানোর ভয় পাবো?? কাকে ভয় পাবো?

বাসায় অামার ছোট ভাইটা পথ চেয়ে বসে অাছে। কবে সবাই অামরা বাবাকে সুস্থ করে ঘরে নিয়ে অাসবো। সে তো অার এ জানে না অাপনারা অামাদের মত শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত মানুষের গ্রাহ্য না করে অবহেলা জনিত ভূল চিকিৎসা দিয়েছেন। কত গরিব নিঃস্ব মানুষকে প্রতিনিয়ত নাজেহাল করতে অাপনাদের অন্তর বিন্দু মাত্র কাঁপে না। বাবা এখন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরা টাকা নেয় এবং সর্বোচ্চ সার্ভিসও দেয়। অাপনারাও তো কম টাকা নিলেন না বারডেম। তাহলে অামার বাবাকে একটি অঙ্গ হারানোর ক্ষতির মুখে না ফেললে কী হতো না?’ 

প্রিয় বিনোদন/গোরা