কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নদীপথ পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ। ছবি: ফোকাস বাংলা

নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়েছে

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৮
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৮

(প্রিয়.কম) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কথিত সন্ত্রাস দমনের নামে দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৯ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে রোহিঙ্গাদের আগমন এখনও অব্যাহত থাকায় দিনে দিনে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে।   

সোমবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বর রোববার পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫ হাজার ৪ শত ৬৮ জন রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের মোট ১২টি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে এবং তাদেরকে প্রত্যাবাসনের আওয়াতায় আনতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে সরকার। সাতটি ক্যাম্পের মাধ্যমে সরকারকে এ কার্যক্রমে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

বায়োমেট্রিকে নিবন্ধিত এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত বলে জানায় সমাজসেবা অধিদফতর। এ সব শিশুর মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।

পালিয়ে আসা সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির। ছবি: ফোকাস বাংলা

পালিয়ে আসা সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির। ছবি: ফোকাস বাংলা

এদিকে কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) এক প্রতিবেদনে জানায়, ২৪ ডিসেম্বর রোববার পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ছয় লাখ ৭২ হাজার মানুষ পালিয়ে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে; যাদের ৯০ শতাংশই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ।

ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, শরণার্থী শিবিরে বর্তমানে ৪ লাখ ৫০ রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে; যার মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজারই নতুন। এসব শিশুর মধ্যে আবার অভিভাবকহীন ৩৬ হাজার ৩৭৩ শিশুও রয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন। পালিয়ে আসা শিশু শরণার্থীদের বাইরেও প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ১০০ নবজাতক। 

বর্বর ওই অভিযানে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচার গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, রাখাইনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালানো হয়েছে এবং এটি মানবতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অপরাধ

প্রিয় সংবাদ/শান্ত