কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংগৃহীত ছবি

সরকার জাতিকে বিভক্ত করেছে: মির্জা ফখরুল

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৩
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৩

(প্রিয়.কম) মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সরকার জাতিকে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্র এভাবে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, এমন নজির পাকিস্তান আমলেও দেখিনি। এত বড় দুর্বৃত্ত এরশাদ আমলেও দেখিনি। এটা সন্ত্রাসীরাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। এত বড় একটা সংকট, রোহিঙ্গা সংকট। এটা মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দলের সভা করে জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের কি যে মানবেতর পরিস্থিতি, অথচ সেখানে সরকার রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে বাধা দিল বিএনপিকে।’

কেন বাধা দিলেন ত্রাণ দিতে? প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে বিএনপি আর বিরোধী দল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিদিনি গুম, খুন, ধর্ষণ বেড়েই চলছে। উল্টো জনগণকে ডাইভার্ট করার জন্য জিয়া পরিবারের বদনাম শুরু করেছে। গুমের বিষয়ে সরকার ঢাক গুড়গুড় করছে কেন? যদি কেউ গুম হয়ে যায়, সেটা খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারেরই। এভাবে করে ক্ষমতায় কিছু দিন টিকে থাকা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সবার আঙুল কিন্তু সরকারের দিকে। সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুরসহ যারা গুম হয়েছেন, সবাইকে ফেরত দেওয়া হোক।’ 

গুম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রে যা কিছু ঘটবে, তার সব দায় সরকারের।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ ও এনটিপির মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত