বন্যার পানিতে ডুবে আছে পেপের বাগান। ছবি: প্রিয়.কম
বানের জলে ভেসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন!
আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৭, ১২:২৯
(প্রিয়.কম) সম্প্রতি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশা ও মৃগী নদীর পানিবৃদ্ধি ও বাঁধ ভাঙার ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তবে বন্যা পানি নেমে যেতে শুরু করলেও, কমেনি কৃষকদের দুশ্চিন্তা। বানের জলে যেন ভেসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন।
জেলা কৃষি কার্যালয় ও কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যায় জেলার তিন উপজেলার মধ্যে শেরপুর সদরের আটটি ইউনিয়নের ৩৩টি, শ্রীবরদীর দুটি ইউনিয়নের ৩৫টি এবং নকলার চারটি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ বন্যায় শেরপুর সদর উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর রোপা আমন এবং ১২০ হেক্টর জমির সবজির আবাদ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তবে বন্যার পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলেও, বাড়তে শুরু হয়েছে কৃষকদের দুশ্চিন্তা।
কারণ কৃষকদের রোপা আমন ও সবজীর খেত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে ডুবে আছে। তাই আস্তে আস্তে ফসল পচতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ফসলের খেতে পলি মাটি ও বালু পড়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ‘আমগর সব শেষ। ঋণ কইরা আবাদ করছিলাম। বন্যা সব নষ্ট করে দিছে। কেমনে ঋণ শোধ দিমু। চোক্কে (চোখে) আইন্ধার (অন্ধকার) দেখতাছি এহন।’
শেরপুর সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, ‘বন্যার পানি পুরোপুরিভাবে সরে গেলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। তখন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।’
প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আশরাফ