কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আত্মহননের পথ বেছে নেব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪৩
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪৩

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মোটেও নতজানু সুলভ নয় বলে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধানের কাজ চলছে। আমরা আত্মহননের পথ বেছে নেব না।’

৯ অক্টোবর সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি। 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যর্থ বলে যারা সমালোচনা করছেন, তারা বিস্তারিত না জেনেই এমনটা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট পুরো দেশের বিষয়। এর সমাধানে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে সবার এক হয়ে যোগ দেওয়া উচিত। টকশোতে যারা কথা বলেন, সমালোচনা করে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় কিছুই করতে পারছে না’- সেগুলো ভুল। আমরা কাজ করছি। যুদ্ধ করব না। যুদ্ধ করলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বলে কিছুই থাকবে না। সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যার প্রমাণ। আমরা আত্মহননের পথ বেছে নেব না।”  

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের ওই রাজ্যের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর গণহারে বাংলাদেশে আসার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও মূল সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নিতে মিয়ানমারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে, তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গেও সীমান্তের সব সমস্যা সমাধান করা হবে। ওই দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো এমন দু্ইজন বাংলাদেশে ধরা পড়েছিল, তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা জানে আমরা তাদের স্থিতিশীলতার পক্ষে। মঙ্গলবার ঢাকায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে। সেখানে সবাই আসবেন, যারা নিন্দা করেন, তারা আসতে পারেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের অক্টোবর মাসেই মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মিয়ানমার যাওয়ার কথা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৩০টি পুলিশ পোস্টে একযোগে হামলা চালায় দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (এআরএসএ)। এরপর থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে। যার প্রেক্ষিতে প্রায় ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। নতুন করে পালিয়ে আসা এবং অাগে থেকে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে বারবার দাবি জানিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত