নাটকের একটি দৃশ্যে শবনম, জোভান ও আইরিন। ছবি: সংগৃহীত
শেষ হচ্ছে ‘বৃষ্টিদের বাড়ি’
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:২৪
(প্রিয়.কম) বাড়ির বড় মেয়ের নাম বৃষ্টি। এখন সে এ বাড়িতে থাকে না। প্রায় তিরিশ বছর আগে, আশ্বিন মাসের এক দুপুর বেলা, মাত্র ১২ বছর বয়সে, বাবার সঙ্গে অভিমান করে কোথায় যে চলে যায় বৃষ্টি, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। সেই থেকে এ বাড়ির পরিচয় বৃষ্টিদের বাড়ি। বৃষ্টিদের বাড়ির গল্পে সবাই আছে, শুধু বৃষ্টি নেই।
একটি পারিবারিক কাঠামো এবং তার চরিত্র গল্পটিতে বিন্যস্ত হলেও আমরা মূলত দেখবো বর্তমান মধ্যবিত্ত সমাজের সহজ সরল কিছু প্রতিফলন। গল্পের শুরুতে আমরা দেখি, একটি বিশেষ ঘটনার কারণে রতনের খালার মনে হয় ছোট বউ কনসিভ করেছে। নাতি হবে জেনে আলাউল খুব খুশি। এটা এক্সিডেন্টাল। এখনি বাচ্চা নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। খবর শুনে আকরামের শ্বাশুড়ি চলে আসে। পরিবারের নতুন সদস্য আসা নিয়ে বাড়ির প্রতিটি সদস্যের আলাদা ব্যস্ততা। এর মধ্যেই দ্বিধা, দ্বন্দ, অস্থিরতা, কুটকৌশল- এই সবই গল্পের ভেতরে বিন্যস্ত হতে থাকে। একটা পর্যায়ে আমরা জানতে পারি, রতনের খালার ধারণাটা ছিলো ভুল। এসবই ছিলো অনুসুয়ার অন্য একটা অসুখের সিমটম।
কি অসুখ? অসুখ সারবে তো? প্রয়োজনে দেশের বাইরে নেওয়া। কিন্তু এক সময় আমরা জানতে পারি, ব্যাপারটা মামুলি একটা অসুখ ছাড়া কিছুই না। এর মধ্যেই শেঘনার জমানো টাকা দিয়ে গাড়ি কেনার ব্যাপারটা ফাঁস হয়ে যায়। গল্প এভাবেই নানা ঘটনা উপঘটনায় চলতে থাকে।
বৃদ্ধ আলাউলের মৃত্যুর আগে বৃষ্টিদের বাড়িতে ৪২ বছরের এক অচেনা মহিলা এসে দরজায় কড়া নাড়ে। এই মহিলাটি প্রায় তিরিশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ১২ বছরের বৃষ্টি। এ বাড়ির বড় মেয়ে। আমরা বৃষ্টির গল্প হয়তো জানবো না। তবে তিরিশ বছর আগে বাবার প্রতি ছোট্ট মেয়ের অভিমানের গল্পটি আমাদের কাছে পরিষ্কার হবে।
জনপ্রিয় এই নাটটির শেষ পর্ব প্রচার হবে বাংলাভিশনে ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৫ মিনিটে। মাসুম শাহরীয়ার-এর রচনা ও আবু হায়াত মাহমুদ-এর পরিচালনায় এই নাটকে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, ড. ইনামূল হক, চঞ্চল চৌধুরী, নাদিয়া, মৌসুমী হামিদ, নাঈম, শবনম ফারিয়া, ফারুক আহমেদ, মুনিরা ইউসুফ মেমী, নোভা, সুজাত শিমূল, সুজন, জোভান প্রমুখ।
প্রিয় বিনোদন/সিফাত বিনতে ওয়াহিদ