কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আত্মহত্যা মামলার চার্জশিটে মিথ্যা জবানবন্দির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আত্মহত্যা: মামলার চার্জশিটে মিথ্যা জবানবন্দির অভিযোগ

রফিকুল ইসলাম
কন্ট্রিবিউটর, রাজশাহী
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১১
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১১

(প্রিয়.কম) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা না বলে এবং তাদের অবগত না করে মিথ্যা ও ভুল তথ্য জবানবন্দি আকারে লিপিবদ্ধ করেছেন।

২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় বিভাগের ১২৩ নম্বর কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ সাত জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘আকতার জাহানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলার যে চার্জশিট মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা জমা দিয়েছেন তা সঙ্গত কারণেই আমাদের বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দকে ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত করেছে। এই চার্জশিটে আমাদের সাত শিক্ষককের নামে ১৬১ ধারায় যে জবানবন্দি দাখিল করা হয়েছে, তা সত্য নয়। নানা রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য সহযোগে তা উপস্থাপন করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুলিশের কাছে বলিনি বা দাবি করিনি, এমন অনেক মনগড়া তথ্য দিয়ে এই জবানবন্দী সাজানো হয়েছে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দিকে নজর না দিয়ে বরং আমাদের সহকর্মীবৃন্দকে অস্মানিত ও হেয় করেছেন। চার্জশিটে সাক্ষী করতে গেলে আমাদের একবার জানানো উচিত ছিল। আর ১৬১ ধারায় জবানবন্দী নিতে হলে স্বাক্ষর নিতে হয়, কিন্তু সেটা করা হয়নি।’

বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশ আমাদের না জানিয়ে আমাদের জবানবন্দী চার্জশিটে উল্লেখ করে অশ্রদ্ধা করেছে। আমাদের রেকর্ড না নিয়ে মনগড়া কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা ব্রজ গোপাল কর্মকার দাবি করেন তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেই জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। তিনি বলেন, ‘এক বছর তদন্ত করে তাদের সঙ্গে কথা বলেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আমি একা কথা বলিনি, আমার সঙ্গে সিনিয়র অনেক অফিসার কথা বলেছেন ও তদন্ত করেছেন।’

২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন থেকে সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন তার কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর মতিহার থানায় ‘আত্মহত্যা’র প্ররোচণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন তার ছোট ভাই কামরুল হাসান। গত ২৫ আগস্ট একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান রাজাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ব্রজ গোপাল কর্মকার। 

প্রিয় সংবাদ/কামরুল