কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি: IFLScience

একটা ভিডিও বানিয়েই আড়াই লাখ ডলার জিতে নিয়েছেন এই তরুণী!

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:২৯
আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:২৯

(প্রিয়.কম) বাচ্চারা আসলেই সবচাইতে ভালো বিজ্ঞানী হয়। তাদের তীব্র কৌতুহলের সাথে কোন কিছুরই তুলনা হয় না বড় হতে হতে বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনার চাপে এই খাঁটি কৌতুহলে, জানার আগ্রহ আর থাকে না। শিশু-কিশোররাই নতুন নতুন সব প্রশ্ন করে বিজ্ঞানীদেরকে চমকে দিতে পারে। আর ফিলিপাইনের এই তরুণী দেখিয়ে দিল, ছোটরাই একদম সহজ করে বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে। 

আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি শুনেছেন তো? ছোট্ট একটি ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে খুবই জটিল এই তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন ফিলিপাইনের ১৮ বছর বয়সী তরুনী হিলারি ডায়ান আন্দালেজ। এর জন্য তিনি আড়াই লক্ষ ডলার স্কলারশিপ জিতেছেন ২০১৭ সালের ব্রেকথ্রু জুনিয়র চ্যালেঞ্জ থেকে। 

ব্রেকথ্রু প্রাইজকে কখনো কখনো বলা হয় বিজ্ঞানের অস্কার। পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং গণিতে যারা কাজ করছেন তাদেকে এই পদক দেওয়া হয়। ২০১২ সালে এর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মার্ক জাকারবার্গসহ অনেক বিজ্ঞানপ্রেমী এবং অন্ট্রেপ্রেনার ছিলেন এর পেছনে। 

ব্রেকথ্রু জুনিয়র চ্যালেঞ্জ-এর অংশ হিসেবে সারা পৃথিবীর তরুণদেরকে বলা হয় নতুন আইডিয়া নিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক ভিডিও তৈরি করতে, যেগুলোর লক্ষ্য হবে মানুষের বিজ্ঞান চিন্তাকে আরো উস্কে দেওয়া। 

হিলারি ডায়ান আন্দালেজ ২০১৬ সালেও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন পপুলার পাবলিক ভোট। এই বছর তিনি ১১ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বিজয়ী হন। শুধু তাই নয়, তাকে উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়েছেন যে বিজ্ঞান শিক্ষক তিনিও পাচ্ছেন ৫০ হাজার ডলারের পুরস্কার। এর পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি তৈরির জন্যও ফান্ড দেওয়া হবে তাকে। 

কী ছিল তার সেই ভিডিওতে? সাধারণ মানুষের কাছে থিওরি অফ রিলেটিভিটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যেখানে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী এবং শিক্ষকরা হিমশিম খেয়ে যান, সেখানে হিলারি কিছু অ্যানিমেশন এবং সুক্ষ্ম বুদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপারটা সহজেই বুঝিয়ে দেন।  খুব সহজেই একটা জটিল গল্প বলে ফেলেন তিনি। বিজ্ঞান খুবই দারুণ কিছু গল্প বলে, কিন্তু যে মানুষটি গল্প বলছে তার ওপরেই নির্ভর করে অন্যেরা সেই গল্প শুনবে কী শুনবে না। এদিক দিয়ে হিলারি পুরোপুরিই সফল বলা যায়। 

ভিডিওতে দেখানো হয়, সময় সবার জন্য একইভাবে চলে না। বরং আপনার ফ্রেম অফ রেফারেন্সের ওপর সেটা নির্ভর করে। আপনি কোন জায়গা থেকে দেখছেন, তার ওপরে পৃথিবীর ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটাও পাল্টে যায়। ভিডিওর শুরুতেই সাউন্ড ওয়েভ নিয়ে হিলারি কথা বলে, এরপর চলন্ত অবস্থায় ঘড়ি যে স্থির থাকা ঘড়ির চাইতে ধীরে চলে এটাকেও ব্যাখ্যা করা হয়। তবে পুরো জিনিসটা বোঝার জন্য আপনি এই ভিডিওটি নিজেই দেখে নিতে পারেন- 

সূত্র: IFLScience

প্রিয় লাইফ/ আর বি