কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বামদিকে মাহফুজুর রহমানের ছবিটি ইন্টারনেট থেকে এবং ডানদিকে তসলিমা নাসরিনের ছবি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।

মাহফুজুর রহমানের গাওয়া গান প্রসঙ্গে যা লিখলেন তসলিমা নাসরিন...

শিবলী আহমেদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৪
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৪

(প্রিয়.কম) ‘এটিএন বাংলা’য় প্রচারিত চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের গান গাওয়া প্রসঙ্গে প্রায় ১৭ ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুকে বাংলাদেশের মানুষ গতকাল থেকে হাসছে। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। কারণ এটিএন চ্যানেলের কর্ণধার মাহফুজুর রহমান গান গাইতে না জেনেই গান গেয়েছেন চ্যানেলে। বাজে লিরিক, বাজে সুর, বাজে কণ্ঠ। টাকা আছে বলে টপ মডেলদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। গানের কথার সঙ্গে মিলিয়ে হাত পা নেড়েছেন, সোজা কথায় আনকুথ (অভ্যস্ত নয়) আর আউটডেটেড (সমসাময়িক নয়)। সব মানছি। কিন্তু কিছু পজিটিভ জিনিস ভাবছি। তা হলো:

১। কোটিপতিরা টাকা কামানোর ধান্দায় থাকে। মদ আর 'মেয়েমানুষ' নিয়ে প্রমোদতরী ভাসায়। তারা দুর্নীতি ও দুষ্কর্ম এত করে যে, পাবলিকের সামনে পারতপক্ষে আসে না। তাদের গান গাওয়ার শখ টখ থাকে না। এই লোকটি শিল্প সাহিত্যে মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। ইনি আর সব কোটিপতির চেয়ে ভিন্ন।

২। গানের কথাগুলো সবই কোনো নারীকে নিয়ে, যাকে তিনি খুব ভালোবাসেন। তার সব গানই ভালোবাসা আর বিরহের গান। কোনও নারীকে খুব মিস করছেন, ফিরে আসতে বলছেন। যাকে ছাড়া তার কিছু ভালো লাগছে না। সেই নারীর সঙ্গে ছিল তার সুখের জীবন। সেই সুখের জীবন এখন আর নেই তার। ফিলদি ধনীরা সাধারণত এমন স্বীকারোক্তি করে না। তাদের এক গেলে আরেক আসে। কারো জন্য তারা কাঁদে না। এই লোকটি ভিন্ন। লোকটি প্রেমিক। হয়তো আউটডেটেড প্রেমিক। কিন্তু প্রেমিক। উদার। সংবেদনশীল।

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিন শট।

৩। ধনীদের অনেক রকম স্বপ্ন বা সংকল্প থাকে। কোনো প্রাসাদ বা কোনো জাহাজ বা কোনো ক্যাসিনো কিনে ফেলা। বা বিশাল কোনো জুয়ায় জিতে যাওয়া বা কাউকে ঠকানো, বা কোনো জাতশত্রুকে খুন করা। কিন্ত এই লোকটি ওসব কিছু চাইছেন না, তার নিজের চ্যানেলে একটু গান গাইতে চেয়েছেন, এই যা।

৪। লোকটি ভালো গান গাইতে পারেন না বলে শুটিং বা এডিটিং-এর সময় তার কর্মচারীরা নিশ্চয়ই তুমুল হেসেছে। তিনি তাদের হাসির শব্দ শুনতে পাননি। তাকে নিশ্চয়ই মিথ্যে প্রশংসা করে বোকা বানানো হয়েছে। এত প্রতাপশালী হয়েও মানুষ যে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে তা বুঝতে পারছেন না। বড় সরল সোজা তিনি, বড় সাদাসিধে।

৫। গান গাইতে জানেন না, তারপরও আবেগ তার এত বেশি যে, গান গাওয়া শিখে তারপর গাইবেন, এই তর তার সইলো না। গেয়ে দিলেন। একটুও ভাবলেন না লোকে যে মন্দ বলবে। এর মানে তার ইমোশান মাত্রাছাড়া। এত ইমোশান ফিলদি ধনীদের সাধারণত থাকে না। তারা বুঝে শুনে চিন্তা ভাবনা করে প্রতিটা স্টেপ ফেলে।

প্রিয় বিনোদন/শামীমা সীমা।