কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তাসকিন রহমান/ছবি: সংগৃহীত।

জিসানের মনে ক্ষোভ, ঘৃণা, আর প্রতিশোধ ছাড়া কিছুই নেই: তাসকিন রহমান

মিঠু হালদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৪৭
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৪৭

(প্রিয়.কম) ‘ঢাকা অ্যাটাক’-হাসনাত করিম জিসান, বিদ্বেষ আর ঘৃণায় হৃদয় পরিপূর্ণ এক যুবক।পুরো ঢাকার শহরটিকে ধ্বংস করার সুনিপুণ পরিকল্পনার ছক আঁকেন। তার আগে স্কুলে গাড়ি বোমা হামলা, এরপর দোয়েল চত্বর উড়িয়ে দেওয়া-এমন সব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই নিজের উপস্থিতি জানান দেন তিনি। পর্দায় নীলচে সাদা চোখের রাঙানি’র নতুন এক খেলা দেখিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে তার অ্যাকশন আর ডায়লগের প্রকাশভঙ্গি এখন দর্শকদের মুখে মুখে।

জিসানের অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক। আর এ চরিত্রটিতে যিনি অভিনয় করেছেন তার আসল নাম তাসকিন রহমান। থাকেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সেখানে গভর্নমেন্ট ডিপার্মেন্ট এ কারেকটিভ সার্ভিস ডিভিশনে কাজ করছেন। গত ৬ অক্টোবর দুপুরে মেইলের মাধ্যমে তাকে কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছিল প্রিয়.কম। আর সে প্রশ্নের উত্তরগুলোই দিয়েছেন তাসকিন। যা প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

প্রিয়.কম: ৬ অক্টোবর ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিটি বাংলাদেশের ১৩০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তার আগে ৫ অক্টোবর ছিল ছবিটির প্রিমিয়ার। ছবির প্রধান দুই নায়ক-নায়িকা’কে ছাপিয়ে বারবার যে চরিত্রটি আলোচনায় এসেছে সেটি হল-খলনায়ক জিসান। দীর্ঘদিন পর এমন ঘটনা ঘটল। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

তাসকিন রহমান: বিষয়টা আমার কাছে খুবই আনন্দের। জিসানের চরিত্রটা আলোচনায় আসার একটা মূল কারণ হল, গল্পের কারণেই, একেবারে একটা সারপ্রাইজ আর সাসপেনসফুল গিমিক হিসেবে রাখা হয়েছে। মুভি রিলিজের আগে গল্পের থ্রিলটা আরও বাড়ানোর জন্য। এবং সৌভাগ্যবসত দর্শক সেই সারপ্রাইজটা ঠিক সেভাবেই নিয়েছে। আর যেভাবে ছবিটির চিত্রনাট্যকার সানি সানোয়ার ভাই গল্পটা বলেছে, এছাড়া দীপন দার একটা প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। তাই আমার মনে হয়েছে দর্শক যেভাবে সাড়া দিচ্ছে সেই জায়গা থেকে বিচার করলে এটা আমাদের এক ধরনের সফালতা অর্জন।  

প্রিয়.কম: প্রিমিয়ারের পর নির্মাতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল আপনাকে নিয়ে-প্রিমিয়ারে আসলেন না কেন?

তাসকিন রহমান: প্রিয়মিয়ারে না আসতে পারার একটাই কারণ, সেটি হচ্ছে এই মুহূর্তে আমি দেশের বাইরে কাজের কারণে একটু আটকে গেছি। তবে খুব শিগগিরই আসার কথা রয়েছে।

প্রিয়.কম: আপনি তো অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন, সেখানে কী করছেন?

তাসকিন রহমান: আমি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকি। কিন্তু ফিল্মের কারণে আমার অস্ট্রেলিয়া আর ঢাকা মিলিয়েই আমার বছরের অধিকাংশ সময় কেটে যায়। সিডনি’তে আমি গভর্নমেন্ট ডিপার্মেন্ট এ কারেকটিভ সার্ভিস ডিভিশনে কাজ করি।

প্রিয়.কম: নিশ্চয়ই অনেক ফোনকল আর ম্যাসেজ পাচ্ছেন বাংলাদেশে থেকে, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই, কেমন লাগছে এ ধরনের ফিডব্যাক পেয়ে?

তাসকিন রহমান: ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ফিল্মের প্রিমিয়ারের পর থেকেই দর্শকদের শুভেচ্ছা, ম্যাসেজ, ফোনকল পেয়ে আমার অত্যন্ত ভাল লেগেছে। আর সবচেয়ে ভাল লেগেছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ফিল্মটাকে আমরা ঠিক যেভাবে দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি ঠিক তাই, কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি ইতিবাচক সাড়া আমরা পেয়েছি। এমন ধরনের ফিডব্যাক আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বড় স্বীকৃতিস্বরূপ।

প্রিয়.কম: যখন শুটিং করেছিলেন, তখন কী মনে হয়েছিল এখন যে ধরনের ফিডব্যাক পাচ্ছেন ঠিক তেমনটাই পাবেন?

তাসকিন রহমান: শুটিংয়ের সময় আসলেই প্রতিটা চরিত্র নিয়ে আমরা এতো ব্যস্ত আর ডেডিকেটেড ছিলাম এখানে শতাব্দী ওয়াদুদ দা, আরিফিন শুভ, এবিএম সুমন এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলাম আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গল্পটাকে উপলব্দি করে চরিত্রটির মধ্যে কীভাবে ঢোকা যায়। এই থেকে দৃঢ বিশ্বাস আর আশা ছিল যে ফিডব্যাক কিছুটা হলেও ইতিবাচক আসবে। কিন্তু দর্শকদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের আশার চাইতেও অনেক বেশি ইতিবাচক ফিডব্যাক আমরা পাচ্ছি।

প্রিয়.কম: আচ্ছা, আপনি কীভাবে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর সঙ্গে যুক্ত হলেন সে ঘটনাটা জানতে চাই?

তাসকিন রহমান: তানিম রহমান অংশ পরিচালিত ‘আদি’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলাকালীন সময় থ্রি হুইলার্স প্রোডাকশন থেকে দীপংঙ্কর দা আমাকে বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর ব্যাপারে। তবে এই ক্ষেত্রে ফ্যাটম্যান ফিল্ম’স এর অদিত রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে শুনেছি। এরপর দীপ দা আমাকে ঢাকা অ্যাটাক এর পুরো গল্প আর জিসান চরিত্রটা বিস্তারিত ভাবে বলেন। চরিত্রটা আমার খুব পছন্দ হয়। জিসান চরিত্রটিকে আমার মধ্যে লালন-পালন করা শুরু করি।

প্রিয়.কম: যখন আপনি এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন আপনাকে কাজটি করার জন্য সাহস যুগিয়েছিল কোন বিষয়টি?

তাসকিন রহমান: চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর সবচেয়ে সাহস যোগায় চরিত্রটির চ্যালেঞ্জটা, কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ বিষয়টা খুব পছন্দ করি। এবং চ্যালেঞ্জিং ক্যারেকটার ভালোবাসি সেটা ইতিবাচক হোক আর নেতিবাচক হোক। দুটোই আমার কাছে শক্তিশালী মনে হয়, কারণ এখানে একটা চরিত্রের উইকনেস, স্ট্রেঞ্জেস রিভিল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। যেটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া বলে আমি মনে করি।

প্রিয়.কম: এরপর আপনার প্রস্তুতির প্রসঙ্গ, ‘জিসান’ চরিত্রটির জন্য ঠিক কি ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

তাসকিন রহমান: যেটা একটু আগে বললাম, ঝুঁকি অথবা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যে কোন আর্টিস্ট এর জন্য একটা রিস্ক, এবার সবচেয়ে বড় ব্লেসিং, যেহেতু আমরা বাংলাদেশকে নতুন কিছু একটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি তাই প্রথম থেকেই একটা দৃঢ বিশ্বাস কাজ করছিল। জিসান চরিত্রটা আমি আমার নিজের মধ্যে গ্রো এবং ইনভলব করে দিয়েছি।
এবং পুরো গল্পটা বোঝার চেষ্টা করেছি। শুধু আমার চরিত্র না। ফিল্মের প্রতিটা চরিত্র বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি নেজেকে কিছু ক্ষেত্রে ‘সোসিয়্যালি আইসোলেট’ করেছি শুধু জিসান এর জন্য। উপলব্ধি করার জন্য। একটা চরিত্রের মধ্যে ঢোকাটা চ্যালেঞ্জিং কিন্তু যখন চরিত্রটা থেকে বের হতে হয় সেটা আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তখন অনস্ক্রিন ম্যাজিক জিনিসটা তৈরি হয়।

প্রিয়.কম: এ বিষয়টি বেশিরভাগ মানুষই জানেন না, বাংলাদেশের জনপ্রিয় নির্মাতা তানিম রহমান অংশু আপনার ভাই। তবে প্রশ্ন সেটি নয়, সে কী কোনভাবে আপনাকে এ কাজটিতে সহযোগিতা করেছে?

তাসকিন রহমান: তানিম রহমান অংশু আমার আপন বড় ভাই। সে ‘আদি’ ফিল্মের পরিচালক। ঢাকা অ্যাটাক ফিল্মের সঙ্গে তার কোন সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আমার জানা নেই। তবে ছোট বেলা থেকে স্বভাবতই আমরা একজন আরেকজনের কাছে সৃজনশীলতার অনুপ্রেরণা।

প্রিয়.কম: ছবির শুটিংয়ের সময় তো কত ঘটনাই ঘটেছিল-সেসব ঘটনা থেকে এখনও আলাদা করে কোন ঘটনাটি বলতে চান?

তাসকিন রহমান: মালয়েশিয়া এবং বান্দরবানের শুটিংয়ের মুহূর্তগুলো সুন্দর এবং স্মরণীয় ছিল কারণ আমরা পরিশ্রম করেছি আবার আনন্দও করেছি। একটা সলিড টিম এবং একটি পরিবার হিসেবে। এবিএম সুমন এবং আরিফিন শুভর সঙ্গে একাধিক প্রজেক্টে কাজ করেছি। তাই আমরা তিনজন বন্ধু বললেই চলে। এখন শুটিংয়ের ফাঁকে আমাদের আড্ডাগুলোই এখন অনেক বেশি মনে পড়ে।

প্রিয়.কম: আমি একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করতে চাই, হাতের মুঠোয় সিগারেট নিভিয়ে ফেলার যে দৃশ্যটি রয়েছে...

তাসকিন রহমান: হাতের মুঠোয় সিগারেট মুচরে নিভিয়ে ফেলাটা ছিল শুধুই ওই মোমেন্টাম ইমপ্রোভাইজেশন। আমি চরিত্রের মধ্যে ছিলাম। জিসানের মনে ক্ষোভ, ঘৃণা, আর প্রতিশোধ ছাড়া কিছুই নেই। সে কারণে আগুন এর মতো ভয়ংকর উপাদানটাও তার কাছে নগণ্য। এই ভয়ংকর সত্যটা ওই মুহূর্তে চরিত্রের মাধ্যমে আমি দেখতে চেষ্টা করেছি। যেটা দীপন দা খুবই পছন্দ করেছিলেন।

প্রিয়.কম: তবে একটা কথা-আপনি কী অভিনয়ের উপর কোন উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহন করেছেন কী?

তাসকিন রহমান: অভিনয়ের উপর আমার কোন উচ্চতর ডিগ্রি নেই। তবে আমি অনেক ছোট বেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। কিন্ত দেশের বাইরে থাকার কারণে অভিনয়ে বড় একটা গ্যাপ পড়ে যায়। তবে এখন কামব্যাক করার সুযোগ হয়েছে।

প্রিয়.কম: প্রিমিয়ারের সময় দর্শক সারিতে বসে অনেকেই আপনার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন, কেউ কেউ তো আপনাকে বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির সঙ্গেই তুলনা করেছিলেন!

তাসকিন রহমান: হুমায়ূন ফরীদি স্যারের সঙ্গে আমি বিটিভিতে প্রচারিত একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। নাম ‘শীতের পাখি’। ১৯৯০ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল তার অ্যাকটিং ম্যাথড কিংবা অভিনয়ের দক্ষতা অনেক উপরের স্তরের। এবং তার ধারে কাছে যেতে হলেও যে কোন শিল্পীকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেটা একটা ফিল্মের মাধ্যমে কারও পক্ষে প্রমাণ করা অসম্ভব। হুমায়ূন ফরীদি স্যারের সাথে আমার অথবা আমার জানামতে কারো তুলনার প্রশ্নই উঠে না। যদিও তা দর্শকের অনুভূতি। তাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় অ্যাচিভমেন্ট। কিন্তু যারা এই ধরনের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন আমি তাদের ব্যাপারটা একটু বিবেচনা করতে অনুরোধ করব। কারণ হুমায়ূন ফরীদি সারা বিশ্বে একজনই।

প্রিয়.কম: সাধারণত যেটা ঘটে না, সিনেমার শেষ দৃশ্যে যখন খলনায়ক মারা যায়, তখন সবাই কড়তালি দেয়। কিন্তু ঢাকা অ্যাটাকে ব্যতিক্রম। সিনেমা দেখা শেষ অনেকেই জিসানের জন্য মন খারাপ করেছেন...

তাসকিন রহমান: জিসান চরিত্রটার বেশ কিছু গল্প আছে সে কেন এরকম খুনি, তার কারণ জানতে ছোটবেলা থেকে চরিত্রটাকে জানতে এবং বুঝতে হবে। নেশাগ্রস্থ মানুষকে সব সময় একটা রহস্যজনক কারণে অ্যাটাক করে। জিসান হচ্ছে সেই অন্ধকার জায়গায় থাকে যাকে সবাই অস্বীকার করে। ফিল্মে জিসানের মৃত্যু দর্শকদের মনে একটা সান্তনার সৃষ্টি করতে পারে আবার এটাও হতে পারে একটা সাইক্লোজিক্যাল ডিফেন্স।

প্রিয়.কম: ছবিটির নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন বলেছেন-‘এ ছবিটির ট্রামকার্ড জিসান’। আপনি কীভাবে দেখেছেন?

তাসকিন রহমান: দীপন দা’র কাছে জিসান একটি ট্রাম্পকার্ড অবশ্যই, কারণ একজন অসাধারণ প্রতিভাবান নির্মাতা হিসেবে তিনি অনেক আগে থেকেই জানতেন ঠিক কী করলে এই জিসান চরিত্রটা দর্শকদের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা যাবে। এই কারণেই তিনি ঠিক তখনই জিসানকে রিভিল করেছেন। যখন কেউ প্রস্তুত ছিল না। এই চমকটার পুরো আইডিয়াটাই সানি সানোয়ার ভাই এবং দীপন দা’র। এবং আমি চেষ্টা করেছি তাদের আশানুরূপ কিছু করার। আশাকরি কিছুটা হলেও করতে পেরেছি।

প্রিয়.কম: আপনি ‘আদি’ নামে আরেকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন, সেটির কি খবর?
তাসকিন রহমান: ‘আদি’র কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তবে এখন কিছু সামান্য টেকনিক্যাল কাজ বাকি আছে। ‘আদি’তে আমার চরিত্রটাও দর্শকদের জন্য একটা চমক নিয়ে আসবে বলে আশা করছি। কারণ এ ফিল্মেও যথেষ্ট টুইস্ট এবং অ্যাকশন আছে। আমি আশাবাদী।

প্রিয়.কম: অভিনয় নিয়ে আপনার সামনের দিনগুলোর পরিকল্পনা কী?

তাসকিন রহমান: অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষকে নতুন কিছু দেওয়াটা আমার অনেক দিনের স্বপ্ন। সবার শুভকামনা, উৎসাহ আর প্রেরণা সঙ্গে থাকলে কিছুটা হলেও সাহস পাব বলে আশা করছি। ভবিষ্যতে দর্শকদের আরও ভাল কিছু কাজ দেওয়ার পরিকল্পনা আমার রয়েছে।

প্রিয়.কম: আপনার প্রিয় অভিনেতা কে, যার কাজ আপনাকে অনুপ্রাণিত করে। তার অভিনয়ের কোন কোন দিকগুলো?

তাসকিন রহমান: হুমায়ূন ফরীদি স্যার, সালমান শাহ, উত্তম কুমার, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, জ্যাক নিকলসন, আল পাচিনোসহ আরও অনেকেই রয়েছেন তাদের অভিনয় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি ম্যাথড এবং থিয়েট্রিক্যাল অ্যাকটিংয়ের অনেক বড় ভক্ত।

প্রিয়.কম: একজন অভিনেতা হিসেবে নিশ্চয়ই আপনার আলাদা দর্শন কিংবা জীবনাচরণ রয়েছে সেটি কী শেয়ার করতে চান?

তাসকিন রহমান: একজন শিল্পী কিংবা অভিনেতা হিসেবে আমি এ জীবনে শিল্প চর্চার মাধ্যমে মানুষের মনে একটু জায়গা করে নিতে চাই। এটা যে কোন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। আর স্বার্থকতা। আশাকরি আপনাদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা এর সঙ্গে থাকবে।

প্রিয়.কম: প্রিয়’কে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

তাসকিন রহমান: প্রিয়কেও।

প্রিয় বিনোদন/গোরা