কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ছেন ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের খেলোয়াড়রা। ছবি: প্রিয়.কম

তামিমের কাছে সাকিবের হার

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮

(প্রিয়.কম) আগের ম্যাচেই তারকা খচিত রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রংপুরকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে একদিনের বিরতির পর সোমবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হয় কুমিল্লা। এদিন বোলার ও ব্যাটসম্যানদের দাপটে ঢাকার বিপক্ষেও জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল।

এদিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে হাসান আলী, রশিদ খান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে ১৮.৩ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা ডায়নামাইটসের ইনিংস। জবাবে শোয়েব মালিকের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে দুই বল ও চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে এটা কুমিল্লার টানা পঞ্চম জয়।

১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব বেশি ভাল হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। স্কোরকার্ডে ২৩ রান যোগ করতেই ফিরে যান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। দলীয় ১৭ রানে রানের খাতা খোলার আগেই আবু হায়দার রনির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। এরপর ব্যক্তিগত ১৮ রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। তৃতীয় উইকেট ৩৫ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইমরুল কায়েস ও শোয়েব মালিক।

কিন্তু ইমরুলকে ২০ রানে ফিরিয়ে বড় হতে থাকা এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাদ্দাম। ১৭ রানের ব্যবধানে ডোয়াইন ব্রাভোকে ফেরান সুনীল নারাইন। এরপর ১৭তম ওভারে জস বাটলার ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে চাপে ফেলেন ঢাকার পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। কিন্তু উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান শোয়েব মালিক। ৫৩ বলে চারটি চার এবং এক ছয়ে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের এই ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর বলে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সুনীল নারাইনের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ঢাকা। কুমার সাঙ্গাকারাকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এই জুটি গড়ার পথে ৩০ বলে তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

ইনিংসের ১৩ তম ওভারে সাঙ্গাকারা রান আউটের শিকার হলে ভাঙে তাদের জুটি। আউট হওয়ার আগে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। এর পরের ওভারে তামিমের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরে যান নারাইন। ৪৫ বলে সাত চার এবং পাঁচ ছয়ে ৭৬ রান আসে ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। ঢাকার দলীয় সংগ্রহ তখন চার উইকেটে ১১৪ রান।

নারাইনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ঢাকার ইনিংস। স্কোরকার্ডে মাত্র ১৪ রান যোগ করতে গুটিয়ে যায় দলটি। খেলা হয়নি পুরো ২০ ওভারও। নারাইন ও সাঙ্গাকারা ছাড়া বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি। কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী ২০ রান খরচায় বিনিময়ে একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট।