কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজশাহীর আরেকটি উইকেট পতনে সিলেটের উল্লাস। ছবি: প্রিয়.কম

সেই সিলেটই শাসন করছে বিপিএল

শান্ত মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:২২
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:২২

(প্রিয়.কম, সিলেট থেকে) কারও নজরই ছিল না তাদের দিকে। কম বাজেটের দল, তারকা ক্রিকেটার নেই বললেই চলে। নাসির হোসেন, সাব্বির রহমানরা কতটা পথ পাড়ি দিতে পারবে? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগে এভাবেই মূল্যায়ন করা হচ্ছিল সিলেট সিক্সার্সকে। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সব হিসাব-নিকাষ পাল্টে দিয়েছে সিলেট। মঙ্গলবার টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে নাসির হোসেনের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী কিংসকে ৩৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচারের দারুণ ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে সিলেট। জবাবে আট উইকেটে ১৭২ রান করে থামে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া রাজশাহী। 

এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল উদ্বোধনী জুটি সিলেট সিক্সার্সের। সব ম্যাচেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিচ্ছেন উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার। এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২৫ রান যোগ করেন থারাঙ্গা-ফ্লেচার। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। রাজশাহীর বিপক্ষেও ১০১ রানের জুটি গড়লেন এ দুজন। মূলত থারাঙ্গা-ফ্লেচারের ব্যাটেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় সিলেট।  

২০৬ রানের লক্ষ্য। রাজশাহী তেড়েফুরেই শুরু করতে চাইল। তাতে সফল রাজশাহী কিংসের দুই ওপেনার লুক রাইট ও মুমিনুল হক। ৫.১ ওভারে স্কোরকার্ডে ৫০ রান যোগ করেন এ দুজন। কিন্তু এমন শুরুর পর ছন্দপতন। দারুণ শুরু করা রাজশাহী দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বসে। ফিরে যান ২৪ রান করা মুমিনুল হক ও রনি তালুকদার। এদিন রনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। 

মুশফিকুর রহিম ও জিতেন প্যাটেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন। তবে এক পাশে টিকে ছিলেন ওপেনার লুক রাইট। তার সাথে যোগ দেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। এই জুটিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রাজশাহী। কিন্তু দীর্ঘ হয়নি এই জুটি। ৩৯ বলে তিন চার ও চার ছয়ে ৫৬ রান করে আউট হন ইংলিশ অলরাউন্ডার লুক রাইট। ফ্রাঙ্কলিন ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি লড়েও পারেননি। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে থামেন ২৩ বলে ৩৫ রান করা ফ্রাঙ্কলিন। শেষপর্যন্ত ১৭২ রানে শেষ হয় রাজশাহীর ইনিংস। 

এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে দাপুটে শুরু এনে দেন উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার। উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান যোগ করেন সিলেট সিক্সার্সের এই দুই বিদেশি রিক্রুট। এসময় বিপিএলের টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা। ১০০ পেরনোর পর এই জুটি ভাঙে। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ফ্লেচার ৩০ বলে পাঁচ ও তিন ছয়ে ৪৮ রান করে বিদায় নেন।

এরপর থারাঙ্গাও আর টিকতে পারেননি। ৩৭ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে ৫০ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনারকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি সিলেটকে। সাব্বির রহমান ও দানুশকা গুনাথিলাকা মিলে সিলেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। সাব্বির ১৬ রান করে থামলেও গুনাথিলাকা ২২ বলে দুই চার ও তিন ছয়ে ৪২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে রস হোয়াইটলি ১২ বলে হার না মানা ২৫ রান করে সিলেটকে ২০০ পার করে দেন।