কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সু চির সাথে বোনো। ছবি: এএফপি

সু চিকে নিয়ে গান বাঁধা পপ তারকা এখন তার পদত্যাগ চান!

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৬
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৬

(প্রিয়.কম) আং সান সুচি যখন গৃহবন্দী ছিলেন, তখন তার মুক্তির দাবিতে বিশ্বজনমত গঠনে সবচেয়ে সরব ভূমিকা পালনকারীদের একজন ছিলেন রক ব্যান্ড ইউ-টু’র বোনো। সেই বোনো এখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন-হত্যার জন্য আং সান সুচির পদত্যাগ দাবি করেছেন।

২০০০ সালে বোনো আং সান সুচিকে নিয়ে একটি গানও বেঁধেছিলেন। ‘ওয়াক অন’ নামের গানটি ২০০২ সালে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পর্যন্ত জিতেছিল। বোনো গানটি বাজানোর সময় তার সমর্থকদের আং সান সুচির মুখোশ পরার আহ্বান জানাতেন।

সেই বোনো এখন বলছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং সেখানে রক্তপাতের ছবি দেখে তার বিবমিষা হচ্ছে।

রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই অসুস্থ বোধ করছি। কারণ সব প্রমাণ যেদিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে তা দেখে আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না। কিন্তু সেখানেই আসলেই জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে। এটা সত্যি সত্যি ঘটছে এবং তাকে (আং সান সুচি) পদত্যাগ করতে হবে কারণ তিনি জানেন এটা ঘটছে।’

আইরিশ রক ব্যান্ড তারকা বোনো। ছবি: এএফপি

আইরিশ রক ব্যান্ড তারকা বোনো। ছবি: এএফপি

বোনো আরও বলেন, ‘তার তো অন্তত এটা নিয়ে আরও বেশি কথা বলা উচিত। আর যদি তার কথা কেউ না শোনো, তার পদত্যাগ করা উচিত।’

প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে আং সান সুচি যখন মিয়ানমারে গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন বিশ্বজুড়ে অনেক তারকা তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তার পক্ষে বিশ্বজনমত গঠন করেছিলেন। ২০১৫ সালে আং সান সুচি যখন মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসলেন তখন তার সমর্থকরা ছিলেন উল্লসিত। কিন্তু মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিপীড়ন শুরু হওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি তাদের মোহভঙ্গ ঘটে। তাদের অনেকেই সুচির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হন।

জাতিসংঘ সহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যা ঘটছে তাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে।

এর আগে মাসেরই শুরুতে আরেক আইরিশ পপ তারকা বব গেলডফ একই রকমভাবে আং সান সুচির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির ভূমিকার প্রতিবাদে তিনি ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব ডাবলিন’ পুরস্কার ফিরিয়ে দেবেন। কারণ সুচিকেও এই একই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এরপর অবশ্য সিটি অব ডাবলিন আং সান সুচিকে দেয়া এই পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

প্রিয় সংবাদ/