কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বন্যায় ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

বন্যার সময় যে সকল বিষয়ে সর্তক থাকবেন

নাজমুল হাসান শান্ত
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০১৭, ১৭:১৭
আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৭, ১৭:১৭

(প্রিয়.কম) এ বছরের বন্যায় ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশের নদীগুলোতে অব্যাহতভাবে পানি বাড়তে থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় দুর্যোগকালীন সময়ে আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত না হতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক।      

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বন্যার সময় একটু সচেতন হলে এবং নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি মেনে চললে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। কোন কোন বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে সেটা জেনে রাখলে অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ বালাই বা বিপদ আপদের হাত থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

বিষয়গুলো হলো-

• কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তার সব দিক (সুবিধা-অসুবিধা) বিচার করুন।

• নিজ গ্রামে থাকা সম্ভব না হলে আশপাশের গ্রাম, যেখানে বন্যা হয়নি সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিন বা সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করুন।

• দালালদের পরামর্শ শুনে গ্রাম ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরে যাবেন না।

• নৌকা না থাকলে চলাচলের জন্য কলাগাছের ভেলা তৈরি করুন। 

• বন্যার সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়িতে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন।

• বন্যার সময় বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে এজন্য এগুলির প্রতিষেধক টীকা/ইনজেকশন নিন৷ এক্ষেত্রে আপনার এলাকায় কর্মরত মেডিকেল টিম কোথায় আছে জেনে নিন এবং তাদের সাহায্য নিন।        

• ঘরে কার্বলিক এসিডের বোতলের ছিপি খুলে রাখুন যাতে সাপ ঘরে ঢুকতে না পারে।

• ছোট বাচ্চাদের (যারা সাঁতার জানে না) ওপর খেয়াল রাখবেন, যেন তারা পানিতে না নামে। 

• কাজের অভাব দেখা দিলে যে কাছাকাছি এলাকায় কাজ পাওয়া যায় সেখানে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে।

• অভাবে জমিজমা বিক্রি না করে আত্নীয় স্বজন বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিন৷ মহাজনদের কাছ থেকে কখনই টাকা কর্জ না নেয়াই ভালো।

• ত্রাণসামগ্রী যা পাওয়া যায় তা দিয়ে অভাব মিটানোর চেষ্টা করুন৷ সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ বণ্টনকারীদের প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করুন।

• বন্যা-কবলিত এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে গ্রামের নিরাপত্তা রক্ষার্থে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করুন এবং সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন৷

১৬ জুলাই বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৫২ হাজার পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩৭ জন। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৯টি। এগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার।

প্রিয় সংবাদ/রিমন