কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পছন্দনীয় কাজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন আজ থেকেই। ছবি: নূর

নতুন বছরটি শুরু করুন ভালোলাগার কাজ দিয়ে

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ২২:১০
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ২২:১০

(প্রিয়.কম) ২০১৭ তার বিদায় ঘণ্টা জানিয়ে দিয়েছে। একইসাথে দোরগোড়ায় নতুন বছরের পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। নতুন বছরের জন্য নতুনভাবে নিজেকে অনেকেই প্রস্তুত করতে চান। নিজের স্বপ্ন, নিজের ভালোলাগা, নিজের ইচ্ছার হাত ধরে কাজ করার পরিকল্পনা করেন। বেশীরভাগ সময়েই এই সকল পরিকল্পনা মনের মাঝে অথবা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। বাস্তবায়ন হয় খুব কম সময়েই।

বর্তমানের চাকরী জীবনে আপনি কি সুখী?” যদি এই প্রশ্নটি রাখা হয় আপনার কাছে তবে উত্তর কি নিশ্চিতভাবে ‘হ্যাঁ’ হবে? যদি না হয়ে থাকে তবে এই মুহুর্ত থেকেই সামনের বছরে নিজেকে তৈরি করা প্রয়োজন পছন্দনীয় কাজের সাথে নিজেকে জড়িত রাখার জন্য। কারণ, অপছন্দনীয় কাজের মাধ্যমে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা পাওয়া গেলেও সেটার স্থায়িত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বলাই বাহুল্য, যে কাজের প্রতি নিজের ভেতর থেকে উৎসাহ ও আগ্রহ তৈরি হয় না সে কাজের ক্ষেত্রে নিজের ভবিষ্যৎ খুব একটা উজ্জ্বল হবে না। তাই এখন থেকেই নিজের ভালোলাগার কাজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। কেনো বলা হচ্ছে নিজের স্বপ্ন ও ভালোলাগার কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করার কথা ও এগিয়ে যাওয়ার কথা? ব্যাখ্যাগুলো কিন্তু খুবই সরল।

ভবিষ্যতে আপনি অনুশোচনা বোধ করবেন

একদম শেষ বয়সে যাওয়ার পর কোন একসময় আপনার মাঝে অনুশোচনা বোধ কাজ করবে নিজের স্বপ্ন নিয়ে কাজ না করার জন্য। এই অনুশোচনা বোধ তৈরি হবে কারণ, পুরো একটি জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখবেন আপনার অর্জনের খাতা একেবারেই শূন্য! নিজের স্বপ্নের পথে কাজ করলেই যে স্পনি সফল হবে, অনেক কিছু অর্জন করে ফেলবেন সেটা নয়। তবে নিজের মাঝে কোন অনুশোচনা থাকবে না এই নিয়ে যে- আপনি একবারের জন্যেও চেষ্টা করেননি।

আপনি তুলনামূলক অনেক বেশী সুখী থাকবেন

বর্তমানে যে কাজটি নিয়ে চাকুরিরত আছেন সেটা নিয়ে কি আপনি সুখী? উত্তর না হলে কী করা প্রয়োজন সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝে গেছেন। একই সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। বর্তমানের চাকরীতে অসুখী থাকার চাইতে নিজের ভালোলাগার কাজ নিয়ে সুখী থাকতে পারাটাই অনেক বড় কিছু। হতে পারে, নিজের ভালোলাগার কাজের ক্ষেত্রে আপনার আয় তুলনামূলক কম। কিন্তু তাতেও আপনার জীবনযাত্রার মানে কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ, আপনি নিজের কাজ নিয়ে সুখী। একজন সুখী মানুষের কাছে পৃথিবীর কোন বাধাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অধিকার রয়েছে সকলের

একটা ব্যাপার মনে রাখা জরুরি। সকল কিছুর চাইতে নিজের ভালো থাকা অসুখে থাকার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে, নিজের স্বপ্ন নিয়ে, ভালোলাগা নিয়ে কাজ করার অধিকার আপনারও রয়েছে। যে কাজটি আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, যে কাজের স্বপ্ন রয়েছে আপনার মাঝে এবং যে কাজটি আপনার জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে সেই কাজকে হেলাফেলা করা উচিৎ নয় মোটেও।

পছন্দের কাজের সাথে জীবন হয়ে উঠবে অর্থবহ

বেশীরভাগ চাকুরিজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হলেই তারা নিরাশ হয়ে বলবেন যে- জীবনটা একেবারেই অর্থহীন! কেন এমন বলেন তারা জানেন? কারণ, প্রতিদিনের জীবনে তাদের কাছে কোন অর্থ নেই, কোন স্বপ্ন নেই, কোন ভালোলাগা নেই! কারণ তারা নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছেন। এইভাবে দিনের পর দিন পার করার ফলে জীবনটা তাদের কাছে অর্থহীন হয়ে ওঠে। কিন্তু আপনি যদি নিজের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন, নিজের ভালোবাসার কাজ নিয়ে এগিয়ে যান, তবে প্রতিটাদিন আপনার কাছে অর্থবহ হয়ে উঠবে। নিজের স্বপ্নকে তিলে তিলে গড়ে তোলার মাঝেই তো থাকে জীবনের রঙিন অর্থ!

আপনি জানেন না, ভবিষ্যতে কী হতে পারে!

যেকোন কিছুই হতে পারে আপনার সাথে যদি আপনি নিজের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন। হতে পারে আপনার পছন্দের কাজের পাশাপাশি কোন পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম কাজ করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। অথবা, আপনার ভালোলাগার কাজটি নিয়েই আপনি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারেন। পেতে পারেন দারুণ সুখ্যাতি। কে জানে ভবিষ্যতের কথা! তাই কোনভাবেই নিরাশ না হয়ে নিজের ভালোলাগার কাজটি নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে এবং এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

নিজের স্বপ্ন নিয়ে, ভালোলাগা অভালবাসার কাজটি নিয়ে পরিকল্পনা করা শুরু করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে-

এটা খুবই কঠিন হবে

নিজের ভালোলাগার কাজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার প্রাথমিক ধাপগুলো হবে খুবই কঠিন ও বন্ধুর। নিজের চারপাশের সকলের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার আশা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। শুধুমাত্র নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এই সময়ে।

হেরে যাওয়ার ব্যাপারটি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে

কাজ শুরু করার পড়ে প্রথম দিকে আয় করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। কোন কোন সময়ে আয়ের চাইতে ব্যয়ের পরিমাণ হয়ে যাবে বেশি। এমতাবস্থায় হেরে যাওয়ার কথা বা হাল ছেড়ে দেবার ব্যাপারটি একেবারেই মাথায় আনা যাবে না। কারণ, শুরু দিকে এমন সময় পার করার ব্যাপারটিই স্বাভাবিক। এই সময়টি কষ্ট করে পার করে ফেলতে পারলে ভবিষ্যতে এমন ধরণের সমস্যা দেখা দেওয়ার পরিমাণ কমে যাবে অনেকটা।

সূত্র: You Queen

প্রিয় লাইফ/ কে এন দেয়া