কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সন্দেহজনক লেনদেন বুঝতে পেরে পুলিশকে অবহিত করে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব সিলন’। ছবি: গ্যাটে ইমেজ।

এবার সুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কার ব্যাংকিং খাত থেকে ৬ কোটি ডলার চুরি

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৫২
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৫২

(প্রিয়.কম) শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত তাইওয়ানের একটি ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৬ কোটি ডলার চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে এ চুরির ঘটনা ঘটে। ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টার ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন বা সুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এ অর্থ কম্বোডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও শ্রীলঙ্কায় স্থানান্তর করে হ্যাকাররা।

এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শ্রীলঙ্কার পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে ও চুরি হওয়া মোট অর্থ থেকে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করেছে।  

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে সুইফট কোড ব্যবহার করে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। এ হ্যাকিং নিয়ে এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। তবে তদন্তকারীরা ধারণা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ব্যবহার করে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের জন্য ভুয়া বার্তা পাঠানো হয়েছিল।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ সরাতে নিউইয়র্কের ফেডারেল বিজার্ভ ব্যাংকে মোট ৩৫টি ভুয়া বার্তা বা আদেশ পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে অধিকাংশগুলোই ব্যর্থ হলেও চারটি আদেশে ফিলিপিন্সে ৮ কোটি ১০ লাখ ও অন্য একটি আদেশে শ্রীূলঙ্কায় ২ কোটি ডলার পাঠানো হয়। হারানো এ অর্থ এখনো পুরোপুরি ফেরত পায়নি বাংলাদেশ। 

এদিকে সুইফট জানিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক এখনও হেকারদের ক্রমাগত হামলার লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে। 

সুইফট কাস্টমার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের প্রধান স্টিফেন গিলবার্ড বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক ফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হ্যাকিং প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে’। এটাই আমরা প্রত্যাশা করেছি, কেননা আমরা আশা করি না যে প্রতিপক্ষরা হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।’ তবে চলতি বছরে কতগুলো আক্রমণের চেষ্টা হয়েছে অথবা কত শতাংশ আক্রমণ সফল হয়েছে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান গিলডারডেল।

প্রিয় বিজনেস/মিজান