কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এনামুল হক বিজয়। ছবি: প্রিয়.কম

‘মাঝে মাঝে প্রেসের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:২৫
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:২৫

(প্রিয়.কম) ২০১৫ বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ হলেও এনামুল হক বিজয়ের জন্য ছিল হতাশার। ওই বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে যান তিনি। এরপর প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও জাতীয় দলে আর ফেরা হচ্ছিল না বিজয়ের। স্বাভাবিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কথা। কিন্তু খেই হারাননি তিনি। লক্ষ্য স্থির রেখে চালিয়ে গেছেন লড়াই।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে ৩৪ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। একই সঙ্গে তিন বছরেরও বেশি সময় পর রোববার জাতীয় দলের প্রতিনিধি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে এলেন! ব্যাপারটা খেয়াল ছিলো বিজয়েরও। তাই তো সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলে উঠলেন, ‘অনেকদিন পর প্রেসের সামনে আসা। মাঝে মাঝে প্রেসের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে।’

জাতীয় দলের প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলা- ব্যাপারটা বিজয়ের কাছে ভালো লাগার। সংবাদ সম্মেলনের পুরো সময়টাই সেই ভালো লাগার আবেশ ঘিরে রাখে তাকে। তবে শুরুতে হাস্যরস দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে সিরিয়াস হয়ে ওঠেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা বিজয় তুলে ধরেন নিজের শক্তির জায়গাটা। তার কাছে দলের চাওয়া আক্রমণাত্মক ব্যাটিং।

যার প্রতিফলন রাখতে চেষ্টা করছেন এই ডানহাতি ওপেনার। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচেই একশ’র উপরে স্ট্রাইকরেট তার। যদিও এখন পর্যন্ত বড় কোনো ইনিংস উপহার দিতে পারেননি বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুবার জীবন পেয়েও ৩৫ রানে থামেন বিজয়। তবে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তার বিশ্বাস, খুব দ্রুতই বড় রান আসবে তার ব্যাট থেকে। 

তবে দল যেভাবে চায়, সেভাবেই ব্যাটিং করতে চান ২৫ বছর বয়সী এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, ‘আমি সব সময় চেয়েছি যেভাবে দল চায়, সেভাবেই ব্যাটিং করতে। আমার খেলাটা আমি যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবো। কোনো সমস্যা নেই। যদি দেখা যায় উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে গেছে, তখন যতুটুক পারবো টেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। টি-টোয়েন্টিতে যখন মারতে হবে তখন চেষ্টা করবো পাওয়ার প্লে-তে মারার। যদি টেস্ট ক্রিকেট হয়, তাহলে চেষ্টা করবো লম্বা সময় ব্যাটিং করার। আমি আমার খেলার থেকে যে কোনো সময় বের হয়ে আসতে পারি। দল যেভাবে চাচ্ছে সেভাবে খেলার চেষ্টা করছি।’

দলের প্রয়োজনে ঠাণ্ডা মেজাজে ব্যাটিং করার মানসিকতাও চর্চায় রাখছেন বিজয়। এ নিয়ে বলছেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে যাই বলেন না কেন, সব সময় দলের প্রয়োজনে যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার ঠিক সেভাবেই করেছি। আমার নিজের একটা ব্যক্তিগত স্টাইল আছে যে আমি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করি। কিন্তু যখন যেভাবে দল চায় সেভাবেই ব্যাটিং করার ক্ষমতা অর্জন করার চেষ্টা করছি। এমন পরিস্থিতি যদি আসে, যে কম বলে বেশি লাগবে কিংবা বেশি সময়ে কম লাগবেওই পরিস্থিতিতে যেন নিজেকে মেইন্টেইন করতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে।’ 

প্রিয় স্পোর্টস/ শান্ত মাহমুদ