কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

নৌমন্ত্রীর কাছে জিম্মি সরকার! – দৈনিক যুগান্তর

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০১৭, ২০:৩৫
আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭, ২০:৩৫

ছবি: দৈনিক যুগান্তর (সংগৃহীত) 

(প্রিয়.কম) পরিবহন খাতে বিভিন্ন সময়ে অস্থিরতার নেপথ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বিশেষ ভূমিকা রাখেন- এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। মঙ্গল ও বুধবার শ্রমিক আন্দোলনের নামে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির ঘটনায় নতুন করে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

৩ মার্চ শুক্রবার দৈনিক যুগান্তরে ‘নৌমন্ত্রীর কাছে জিম্মি সরকার!’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য বলা হয়েছে।  

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের কর্মকাণ্ডের কাছে কি জিম্মি সরকার? পরিবহন সেক্টরের নিয়ন্ত্রক কে- শাজাহান খান নাকি সরকার? খোদ সরকারি দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনীতিকসহ পেশাজীবীদের মধ্যে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনার ঝড়। কিন্তু শ্রমিকদের বারবার ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে নিজ দলের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পরও তার বিরদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকছে আওয়ামী লীগ।

তবে অনৈতিক ও অযৌক্তিক দাবি আদায়ে পরিবহন শ্রমিকদের দিয়ে যারা সারা দেশ অচল করে দেয়, সেসব নেপথ্যের নায়কের বিরুদ্ধে এখনই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। অন্যথায় ভবিষ্যতে সরকারকে বড় ধরনের মাশুল দিতে হতে পারে বলে আশংকা তাদের।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ পত্রিকাটিকে বলেন, একজন মন্ত্রীর বাসায় (শাজাহান খান) ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে আরেকজন প্রতিমন্ত্রীও (মশিউর রহমান রাঙ্গা) উপস্থিত ছিলেন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সরকার, জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ফেলেছেন তারা। এসব একেবারে কাম্য নয়, এটা প্রত্যাশা করা যায় না। এ ধরনের কর্মসূচি জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সরকার বেকায়দায় পড়েছে। পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে।

নৌমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ পত্রিকাটিকে বলেন, ‘সড়কে মানুষ হত্যার জন্য আদালত দু’জন চালককে সাজা দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনিভাবে মোকাবেলা না করে আমাদের সরকারের একজন মন্ত্রীর (শাজাহান খান) নেতৃত্বে কিছু পরিবহন শ্রমিক জনগণকে জিম্মি করে যে নৈরাজ্যকর আন্দোলন করেছে, তাতে সরকারের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের আন্দোলন কাম্য নয়। আন্দোলনকারীরা শক্তির রাজনীতি করছে, জনগণের শান্তির জন্য নয়।’

১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-আম্বিয়া)-এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না বলে শাজাহান খান যে মন্তব্য করেছেন তা নৈরাজ্যবাদীদের প্রশ্রয় দেবে, তাদের উৎসাহিত করবে। সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের রায় নিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন। কিন্তু রায় বাতিলের দাবিতে রাজপথে নেমে যাওয়া খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ ধরনের কর্মসূচি আইনের শাসনের পরিপন্থী।

যুগান্তরের ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য নিতে বৃহস্পতিবার নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের দুটি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু রিং বাজলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ছাড়া এদিন রাত সাড়ে ৭ টায় তার টেলিটক মোবাইল ফোন নম্বরে মন্তব্য চেয়ে একটি এসএমএস পাঠানো হয়। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এসএমএস-এর উত্তর পাওয়া যায়নি।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত