কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফাইল ছবি

শরীয়তপুরে খোলা আকাশের নিচে পুলিশের জব্দকৃত যানবাহন

এম.এ ওয়াদুদ মিয়া
কন্ট্রিবিউটর, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৩
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৩

(প্রিয়.কম) শরীয়তপুর জেলায় পুলিশের জব্দ করা দুই শতাধিক যানবাহন খোলা আকাশের নিচে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনগুলো বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় আইনি জটিলতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পুলিশ বলছে, জব্দকৃত গাড়ি রাখার জন্য আলাদা স্টোর রুম না থাকায় এগুলো বাইরে রাখতে হচ্ছে। যার কারণে ঝামেলায় পড়ছেন যানবাহনের মালিক এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানায়, বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে আটক করা এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, ট্রাক, পিকাপ ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং মোটর সাইকেল। এসব গাড়ির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। জব্দকৃত এসব গাড়ি মামলার আলামত হিসেবে যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। খোলা আকাশের নিচে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে বেশির ভাগ যানবাহনই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল হয়ে যাচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন।

অন্যদিকে, জব্দ হওয়া যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এর ফলে রাখার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে মামলার আলামত হিসেবে যানবাহনগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারায় কোর্ট পুলিশ এবং থানা পুলিশকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

শরীয়তপুর কোর্ট, পুলিশ বক্স এবং বিভিন্ন থানা সূত্রে জানা যায়, জেলার ছয়টি থানা, কোর্ট এবং পুলিশ লাইনে ২৬৫টি গাড়ি উন্মুক্ত স্থানে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে সদর থানায় ১৩১টি, গোসাইরহাট থানায় নয়টি, জাজিরা থানায় ২১টি, ভেদরগঞ্জ থানায় ১৯টি, নড়িয়া থানায় দু্টি, ডামুড্যা থানায় তিনটি, শরীয়তপুর কোর্টে ৩৫টি এবং পুলিশলাইনে ৪৫টি। এসব গাড়ির বেশির ভাগই মোটরসাইকেল। তবে এদের মধ্যে কিছু প্রাইভেটকার, পিকাপ ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং ট্রাকও রয়েছে।

জব্দকৃত একাধিক গাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের দায়ের করা মামলায় নিজেদের জামিন হলেও শুধু মাত্র আইনি জটিলতার কারণে গাড়িটি মুক্ত করতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটক হওয়া গাড়ির কয়েকজন মালিক বলেন, আর কিছুদিন এভাবে থাকার পর আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠলেও যানবাহনটি হয়তো অক্ষত অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না। 

ভোজেশ্বর বাজারের বাসিন্দা ইয়াকুব পেদা প্রিয়.কমকে বলেন, সঠিক কাগজপত্র না থাকায় তিনিসহ অনেকেই গাড়ি ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে বৈধকাগজ পত্র থাকা সত্বেও আইনি জটিলতা এবং হয়রানির কারণে গাড়ি ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

এদিকে জব্দকৃত গাড়িগুলোকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে তা সহজ উপায়ে ছাড়পত্র প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, জব্দকৃত গাড়িগুলোকে সহজ উপায়ে নিলামে বিক্রি করলে কোটি টাকার রাজস্ব আসবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।

শরীয়তপুরের ট্রাফিক সার্জেন্ট মেহেদী হাসান প্রিয়.কমকে বলেন, জব্দকৃত যে সব যানবাহন রয়েছে, তার বেশির =ভাগই নম্বারবিহীন, চুরি এবং ছিনতাই করা। এদের কোনো বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় জব্দ করা হয়েছে। যা থানায় মামলার আলামত হিসেবে রাখা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল