কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নিরাপদ সড়ক দিবস। ছবি: সংগৃহীত

নিরাপদ সড়ক দিবস: ‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৪৩
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৪৩

(প্রিয়.কম) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ। ‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে ২২ অক্টোবর রোববার নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মত দিবসটি পালিত হবে। 

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সড়ককে নিরাপদ করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে আসছে। 

এই আন্দোলেনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ‍হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নিসচা। 

রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন,  ‘সময়ের চেয়ে জীবন মূল্যবান। সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মূল্যবান জীবন ঝরে যাক তা কেউ চায় না। তাই সড়ককে নিরাপদ ও আরামদায়ক করার পাশাপাশি বিকল্প যানবাহনের টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত পরিবহণ সেবা টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বর্তমানে সড়কপথে মোটরযানের সংখ্যা, যাত্রী এবং যানবাহনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গাড়ি চালক-মালিক-যাত্রী-পথচারী-শ্রমিক-কর্মচারীসহ সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহবানও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী মহাসড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে, নতুন নতুন রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভার ও ওভারপাস নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন,  ইউনাইটেড নেশান্স ডিক্যাড অব এ্যাকশান ফর রোড সেফটি ২০১১-২০২০ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর অনুসমর্থনকারী হিসাবে গোল -৩ .৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে এ্যকশান প্লান প্রস্তুত করে বাস্তবায়নাধীন আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা টেকসই, নিরাপদ ও মানসম্মত সড়ক অবকাঠামো এবং সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এবং পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে অচিরেই এ দেশে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সূত্র: বাসস

প্রিয় সংবাদ/মিজান