কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাদুল্যাপুরের একটি বাড়িতে বন্যার পানিতে প্রবেশে করেছে। ছবি: সংগৃহীত

সাদুল্যাপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

তোফায়েল হোসেন জাকির
কন্ট্রিবিউটর, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬
আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬

(প্রিয়.কম) গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত সাদুল্যাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে পানি জমেছে সে সকল বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ। এদিকে প্রাথমিক পর্যায়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বন্যার কারণে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাদুল্যাপুর উপজেলার রসুলপুর, দামোদরপুর জামালপুর, বনগ্রাম ও কামারপাড়া ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের সাড়ে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গত পরিবারগুলো তাদের স্বজনের বাড়িতে এবং সাদুল্যাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে এ পর্যন্ত উপজেলার সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত। ভেসে গেছে মৎস্য চাষীদের পুকুরের মাছ। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে।

Flood/in-gaibandha

চলতি বন্যায় সাদুল্যাপুরের  একাধিক গ্রামের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি বানভাসি মানুষগুলো হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে। অনেক ছিন্নমূল পরিবারের মধ্যে দেখা দিয়ে খাদ্য সংকট। ঘাঘট নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ পানিবন্দী হওয়ায় এসব এলাকার গ্রামীণ কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষজন নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করছে। নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট। চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঘাঘট নদীর তীরের একাধিক স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিসহ শতাধিক ঘড়বাড়ি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষীপুর এলাকার পানিবন্দি মানুষ গুলো নানা দুর্ভোগে পড়েছে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে তারা সাদুল্যাপুর ডিগ্রী কলেজ ও সাদুল্যাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ওই স্থানে আশ্রয়িত পরিবারের নুর আলম, লাল মিয়া ও লালচান বলেন, আমাদের ঘরবাড়িতে বন্যার পানির উঠায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এমনকি দুবেলা দুমুঠো অন্ন তাদের জুটছে না বলে এ প্রতিবেদককে জানান। বন্যা দুর্গত মানুষদের চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল লক্ষ্য করা গেছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মনিরুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচ ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ২০ মে.টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিতরণ অব্যহত আছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রহিমা খাতুন বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা সমূহ পরিদর্শন করা হয়েছে। পানিবন্দী মানুষদের দুর্ভোগ নিরসনে নানা পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল