কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাব্বির রহমান, বিরাট কোহলি ও নাথান লায়ন। ছবি: সংগৃহীত

সাব্বিরের মাঝে কোহলিকে খুঁজে পান লায়ন!

সামিউল ইসলাম শোভন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০৫
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০৫

(প্রিয়.কম, চট্টগ্রাম থেকে) বারবার উইকেটের মাঝে গিয়ে সাব্বির রহমানের সাথে কথা বলছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তারপরও মেজাজটা পুরোপুরি টেস্টসুলভ থাকলো না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেললেন ‘আক্রমণাত্মক’ ৬৬ রানের ইনিংস, যা অজি ডানহাতি স্পিনার নাথান লায়নকে মনে করিয়ে দিয়েছে দেয় ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির কথা!

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এমনটা জানান পাঁচ উইকেট নেওয়া লায়ন। তিনি বলেছেন, ‘সে খুবই ভালো একজন খেলোয়াড়। তার মধ্যে আমি বিরাট কোহলির ছায়া দেখতে পাই। কোহলি উপমহাদেশে সম্ভবত রোল মডেল। তবে ক্রিজে সাব্বিরের হাঁটা, শট খেলার ধরনের মধ্যে কোহলির ছায়া পাওয়া যায়। আমরা দেখেছি সে খুব একটা রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেনি। সে ম্যাচটিকে টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছে। সাহসিক ক্রিকেট খেলেছে। সে খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। ভালো ভালো কিছু শট খেলেছে। সে অবশ্য বেশ ভাগ্যবানও। অবশ্য ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে ভাগ্যেরও মাঝে মাঝে সহায়তা লাগে। স্ট্যাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে আমরাও ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছি। যে বলে সে আউট হয়েছে সেটা সম্ভবত আমার করা সেরা বল নয়। আসলে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছি এবং বেশ উপভোগ করেছি বিষয়টা। তবে সে ভালো মানের একজন ক্রিকেটার। আমরা নিঃসন্দেহে তাকে সম্মান করি।’

দলীয় ১১৭ রানেই যখন প্রথম পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিলেন নাথান লায়ন- অ্যাস্টন অ্যাগার, তখনই ইনিংস সামলাতে মুশফিককে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন সাব্বির। নিজের অষ্টম টেস্টেই ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে তুলে নেন এই ফরম্যাটে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। আউটও হয়েছেন নাটকীয়ভাবে। নাথান লায়নের বলে দুর্ভাগ্যবশত পা হড়কে যায় সাব্বিরের। তাতে করে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি।

লায়নের পর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলেন সাব্বির। তার সামনে এ কথা তুলতেই বললেন, ‘বিরাট কোহলির মত ব্যাটসম্যান আমি হতে পারিনি। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। তবে কোহলি কোহলিই,  আমি আমিই, একাই। কোহলির সঙ্গে তুলনা বড় নয়। আমি আমার খেলা যদি খেলতে পারি বা দলে অবদান রাখতে পারি তাহলে সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’