কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘আমরাও রোহিঙ্গা’ শীর্ষক এক সংহতি সভা। সংগৃহীত ছবি

‘রোহিঙ্গারা হুমকি নয়, নিজেরাই নিরাপত্তাহীন’

সজিব ঘোষ
সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৭
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৭

(প্রিয়.কম) ‘রোহিঙ্গাদের যেন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা না হয়। তারা হুমকি নয়, নিজেরাই নিরাপত্তাহীন।’ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘আমরাও রোহিঙ্গা’ শীর্ষক এক সংহতি সভায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ, সেবা ও প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রস্তাবনায় এ কথা বলা হয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী রক্ষণাবেক্ষণে নাগরিক সমাজের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ সভার আয়োজন করে।

সভায় রামরুর চেয়ারপারসন তাসনিম সিদ্দিকী  প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, ত্রাণ ও পুনর্বাসনে নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্রুত একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা দরকার। নাগরিক সমাজের জ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বয় কমিটি করতে হবে। আরও লোকবল নিয়োগ দেওয়াসহ শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সেলিং করাতে হবে। নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথাও বলা হয়। এ ছাড়া জাতিসংঘ শরণার্থী-সংক্রান্ত হাইকমিশনের নির্বাহী পরিষদ ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার, আন্তর্জাতিক প্রচারণার পাশাপাশি শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং এ ব্যাপারে ভারত ও চীনের বর্তমান অবস্থান পরিবর্তনের জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হয়।

জাতিসংঘ শরণার্থী-সংক্রান্ত হাইকমিশনের সাবেক কর্মকর্তা মো. মহিউস সুন্নাহ বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু এ দেশের না, এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা চাই, সারা বিশ্ব তাদের সভ্যতার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসুক।’

নিরাপত্তা ইস্যুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নিরাপত্তা ইস্যু আছে কি না, বা এটা বিভ্রান্ত করার জন্য কারও সৃষ্ট কিছু কি না, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে বেশ কিছু পুলিশ পোস্টে হামলার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী নজিরবিহীন নৃশংস অভিযান পরিচালনা করে। খুন, কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা, ধর্ষণসহ নানাভাবে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন অব্যাহত রাখে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এতে নিহত হয় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। জীবন বাজি রেখে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ফলে জনশূন্য হয়ে গেছে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১৭৬ টি গ্রাম। 

এদিকে যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের অনুরোধে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসে। বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানায়।

এর আগে এ সংকট নিরসনে ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ ১২ জন নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বের ১৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকএকটি খোলা চিঠি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

 

প্রিয় সংবাদ/সজিব