কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা প্রভাবে পর্যটক সংকটে ভুগছে জনপ্রিয় এই ট্যুরিস্ট স্পট।

রোহিঙ্গা প্রভাবে কক্সবাজারে পর্যটক সংকট

উম্মে মোনতেজামা
ফিচার রাইটার, ট্রাভেল
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪০
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪০

(প্রিয়.কম) বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার ছিল পর্যটক শুন্য। তারকা মানের হোটেলগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও অন্যান্য হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টগুলোয় বুকিং হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। তার উপর মিয়ানমারে সহিংসতার ঘটনায় সম্প্রতি কক্সবাজারে দেড় লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। বিস্ফোরণ, আগুন ও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তের লোকজন। ফলে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির প্রভাবে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন বাধার সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রায় প্রতিদিনই জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে তাদেরকে শিবিরে থাকার নির্দেশ দিলেও এক শ্রেণীর দালালদের সহযোগিতায় তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। এই সুযোগে কক্সবাজার শহরেও রোহিঙ্গার উপস্থিতি অনেকাংশে বেড়েছে। তার আগে থেকেই শহরতলীর আশে পাশে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করে আসছে।


প্রায় প্রতিদিনই এই শহরে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা বাড়ছে।  ছবিঃ সংগৃহীত। 

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থল কক্সবাজার। তাই প্রতিদিনই এই শহরে দেশবিদেশী অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু পুরো পথেই রোহিঙ্গা শরণার্থীর দল ছড়িয়ে থাকায় পর্যটকবাহী যেকোনো গাড়ি থামলেই ত্রাণের জন্য ছুটে আসছে তারা। এতে অনেকে পরিবার নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমছড়ি, মেরিন ড্রাইভ, টেকনাফসহ কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে। আগামী নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে পর্যটনের মৌসুম। তবে নগরী কক্সবাজারের বর্তমান যে অবস্থা তাতে আসন্ন এই মৌসুমে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে ঈদ-উল-আযহা ও পূজার ছুটি থাকা সত্ত্বেও নগরীতে তাই পর্যটক আগের তুলনায় কম। যেখানে রোজার ঈদের ছুটিতে তিন লাখের অধিক পর্যটকের আনাগোনায় মেতে উঠেছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে থমথমে অবস্থা বিরাজমান থাকায় পর্যটকদের সংখ্যা কমে গেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে অনেক পর্যটক তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছে। আর যারা মোটামুটি সামর্থ্যবান তারা দেশের বাইরে বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবছে। ব্যাপক হারে রোহিঙ্গার এই উপস্থিতি পর্যটন শিল্পের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই বিচে বসতি গড়ায় জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। অন্তত পর্যটনের উন্নয়নের খাতিরে কক্সবাজার শহরটি রোহিঙ্গা মুক্ত করতে হবে। তা না হলে যেকোনো মুহূর্তে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।  

পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে শতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফ গার্ড। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৈকতের সবকটি পয়েন্টে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে লাইফ গার্ডরা। এছাড়া জেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটে স্ট্যাইকিং ফোর্সসহ অতিরিক্ত টহল পুলিশও থাকবে।

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে-https://www.priyo.com/post