কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এক বাংলাদেশিকে খুনের অভিযোগে আটক রোহিঙ্গা যুবক হাফেজ জিয়াবুল মোস্তফা। ছবি: সংগৃহীত

গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১১:০৫
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১১:০৫

(প্রিয়.কম) নিত্য যোগ হচ্ছে হাজার হাজার আশ্রিত। ফুলে ফেঁপে উঠছে শরণার্থী ক্যাম্পগুলো। পুরোনো ছক বদলে সঙ্কটের শরীরে আছড়ে পড়ছে নতুন ঢেউ। বিশ্বের ধিক্কারেও টনক নড়ছে না নিজেদের নাগরিকদের কুপিয়ে, পুড়িয়ে, ধর্ষণের মাধ্যমে হত্যা করা মিয়ানমারের।  মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই অত্যাচারের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে যাদের ক্ষুধা, দারিদ্র, আবাসন সঙ্কট, স্বাস্থ্যগতসহ নানা সমস্যার সমাধানে গলদঘর্ম অবস্থা, খোদ তারাই কিনা ঝুঁকছে অপরাধ প্রবণতায়! বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা, সাম্প্রতিক সময়ের হালচাল দেখে বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যেই বলাবলি শুরু করে দিয়েছেন তবে কি গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে মিয়ানমার থেকে অত্যাচারের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা!

ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান শত শত রোহিঙ্গার সারি। ফাইল ছবি

ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান শত শত রোহিঙ্গার সারি। ফাইল ছবি

প্রশ্ন ওঠা একেবারে অবান্তর নয়। ক্যাম্পগুলোতে ঘুরে আসা ত্রাণ সহায়তাকারী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বিশ্লেষকদের বাস্তবভিত্তিক এ অনুমানগুলোর সত্যতা মেলে। ক্যাম্পগুলো পরিদর্শনের সময় ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে অস্থিরতা, অপরাধপ্রবণতা বেড়েই চলছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে তাঁদের চোখে।

অনেকে জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পগুলোর আশেপাশেও অবস্থান করা যায় না। তাছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বলেও শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা’র (ইউএনএইচসিআর) হালনাগাদ করা সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২৫ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৬ লাখ ৭হাজার। যার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শুধুমাত্র ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ৫ হাজার রোহিঙ্গা। পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গারা জানান, বাংলাদেশের পথে রয়েছেন অন্তত আরও ২০ হাজার রোহিঙ্গা।

বিশ্লেষকদের মতে, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তার স্থায়ীত্ব যেন দীর্ঘায়িত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যদি এ সঙ্কটের সুরাহা দ্রুত সময়ের মধ্যে না হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ, পর্যটন শিল্পসহ নানা ক্ষতির মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক মনে করেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দীর্ঘকাল অবস্থান করলে নিরাপত্তা, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকটে এ তিন ধরনের সমস্যা হতে পারে৷ জঙ্গি তৎপরতার অাশঙ্কার কথা বাদ দিলেও দীর্ঘকাল এখানে অবস্থানের ফলে কাজকর্ম না থাকলে তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। আর এই মানুষগুলোকে দীর্ঘকাল বাংলাদেশের পক্ষে খাইয়ে-পড়িয়ে রাখা এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ স্থানীয়ভাবে তাঁরা প্রভাব বিস্তারও করতে চাইতে পারে৷ অতীতেও এমন রেকর্ড আছে। অনেককে রাজনৈতিক বিবেচনায় পুনর্বাসন করা হয়েছে৷ যাসামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করবে৷

খুন সহ নানা অপরাধমূল ঘটনায় যুক্ত হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাম। এমনকি অনেক বিশ্লেষক বলছেন, তাঁদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জঙ্গিবাদ দানা বাঁধতে শুরু করলে তা আশ্চর্য হবার মতো ঘটনা হবে না। 

ইতিমধ্যে খুন, ডাকাতি, বনভূমি দখলসহ হেন কোনো কাজ নেই যার সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িয়ে যায় নি। ইয়াবা, মানবপাচারেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। স্থানীয়রা প্রথম প্রথম আগ্রহ নিয়ে আশ্রয় দিলেও এখন তাঁদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। শুধু সাধারণ জনগণই তাদের লক্ষ্যবস্তু তা কিন্তু নয়, বাদ যাচ্ছেন না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনও।

দেদারসে তারা ব্যবহার করছেন বাংলাদেশি সিম। যার মাধ্যমে তাঁদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।  

সম্প্রতি কক্সবাজারের রামু উপজেলার একজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা। একই দিনে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন চার বাংলাদেশি। এখানেই থেমে নেই তাদের অপরাধ কার্যক্রম।

টেকনাফ ও উখিয়া থানা মিলে এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের অন্তত ৩০টি অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করেছে৷ হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গাকে।

রোহিঙ্গাদের চাপে স্থানীয়রা কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তা ফুটে উঠে উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দীন চৌধুরীর কথায়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের চাপে স্থানীয় লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের অপরাধ কর্মে বিষিয়ে উঠছে এলাকার পরিবেশ। এতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের জীবন। সঙ্কট দ্রুত সমাধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে রোঙ্গিহারা চরম বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে।

সংঘাত শুরুর পর থেকেই রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তা-ই হয়তো দেখছিলো। ফাইল ছবি

সংঘাত শুরুর পর থেকেই রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তা-ই হয়তো দেখছিলো। ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভিতরে উগ্রতা বা রুক্ষতা থাকা স্বাভাবিক৷ কারণ, তারা নির্যাতিত হয়েছেন৷ নিজেদের সামনে স্বজনদের হত্যার শিকার হতে দেখেছেন৷ কিছু কিছু রোহিঙ্গা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে৷ তারা হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধও করছে৷ তাদের কাছে অস্ত্রসস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়৷ আমরা ফোর্স বাড়িয়েছি৷ সরকারের অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে৷’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি। রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পালিয়ে আসার হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও, ১৫ অক্টোবর থেকে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে

এ নিয়ে কিছু এরিয়াল ফুটেজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, উখিয়ার পালংখালির কাছে নাফ নদী পার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় জাতিসংঘ মনে করছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধনে নেমেছে। 

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯০ ভাগই হলো নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।

রাখাইন থেকে মায়ের সঙ্গে প্রাণে বেঁচে বাংলাদেশে আসা এক রোহিঙ্গা শিশু। ফাইল ছবি

রাখাইন থেকে মায়ের সঙ্গে প্রাণে বেঁচে বাংলাদেশে আসা এক রোহিঙ্গা শিশু। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মতে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে শতকরা ৬০ ভাগ। এর মধ্যে ১১শ’র বেশি রোহিঙ্গা শিশু পরিবার ছাড়া অচেনাদের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আর এসব শিশুর চোখের সামনেই তাদের বাবা-মাকে গুলি ও জবাই করে হত্যা, মা-বোনদের ওপর যৌন নির্যাতন ও ঘর-বাড়িতে আগুন দেওয়াসহ ইতিহাসের নৃশংসতম ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে মিয়ানমারের সেনারা।

নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বালুখালীতে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাম্প। ছবি: ফোকাস বাংলানতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বালুখালীতে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাম্প। ছবি: ফোকাস বাংলা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের স্পষ্ট প্রমাণ হাজির করেছে। অ্যামনেস্টি বলছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি-ভিডিও এবং সব ধরনের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ উপসংহারে উপনীত হওয়া যায় যে, ‘রাখাইনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালানো হয়েছে এবং এটি মানবতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অপরাধ।’

অভিযানের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কুপিয়ে হত্যাসহ বর্বরতার চূড়ান্ত সীমাও অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংস্থাটি বলেছে, ইতোমধ্যে প্রায় ২৮৮টি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা একটি নৃগোষ্ঠীর নাম যাদের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ইসলাম ও ১০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। রোহিঙ্গাদের আদি আবাসস্থল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। শত শত বছর ধরে রাজ্যটিতে বাস করা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি না দিয়ে মিয়ানমার সরকার এ জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালাচ্ছে।

১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার সময়ও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছিল। ১৯৬২-তে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর নতুন করে সংকটের মুখে পড়ে রোহিঙ্গারা। ১৯৭৪ সালে সামরিক জান্তা ‘বিদেশি’ আখ্যা দেওয়ার পর ১৯৮২ সালে প্রণোয়ন করা হয় নাগরিকত্ব আইন। আর এই কালো আইনের মাধ্যমে অস্বীকার করা হয় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব। নাগরিকত্ব হরণ করে তাদের অস্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। সাদা কার্ড নামে পরিচিত ওই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয় সীমিত কিছু নাগরিক অধিকার।

জাতিসংঘের সহায়তায় ২০১৪ সালে পরিচালিত আদমশুমারিতে রোহিঙ্গা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাধার মুখে পড়তে হয় রাখাইনের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের। তাদের শুমারি বয়কটের ঘোষণার মুখে সামরিক জান্তা সিদ্ধান্ত দেয় রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত হতে গেলে অবাঙালি হতে হবে। ২০১৫ সালে সাংবিধানিক পুনর্গঠনের সময়ে আদমশুমারিতে দেওয়া সাময়িক পরিচয়পত্র বাতিল করে সামরিক জান্তা।

পদ্ধতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করা হয় মৌলিক অধিকার থেকে। চলাফেরা, বাসস্থান নির্মাণ, শিক্ষা, চিকিৎসা, এমনকি চাকরির অধিকার থেকে আইনসিদ্ধভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। 

প্রিয় সংবাদ/মিজান