কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমাদের সমুদ্র আমাদের সম্পদ!

কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প কি হুমকির মুখে?

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৬
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৬

(প্রিয়.কম) নিজ জন্মভূমি থেকে রীতিমত বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন আশ্রয় নিচ্ছেন অগণিত রোহিঙ্গা শরণার্থী। মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজে শরণার্থীদের সাথে দেখা করেছেন, বলেছেন একাত্তরে আমাদেরও ঘর পুড়েছিল, আমরাও হয়েছিলাম গৃহহারা। রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা উচিত কি উচিত না সে প্রসঙ্গ আলাদা। তবে মায়ানমার থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসায় টেকনাফ, কক্সবাজারসহ এলাকাগুলো আর যেন আগের মতো নেই।

কক্সবাজার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটনস্থল এটি। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকত হওয়ায় দেশীয় পর্যটক শুধু নয় দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য বিদেশি পর্যটক জীবনে একবার হলেও এই বালুকাবেলায় ঘুরে বেড়াতে আসতে চান। আমাদের এই পর্যটন এখন হুমকির মুখে। সমগ্র সৈকত জুড়ে ঝিনুকের মালা বিক্রি থেকে শুরু যাবতীয় হকার কার্যকলাপে লিপ্ত রোহিঙ্গা শিশুরা। সৈকতে হয়রানিমূলক নানান কাজে নিয়োজিতদের আছেন অনেক রোহিঙ্গা।

আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংকটের কারণে অধিকাংশ অঞ্চল অপূর্ব সুন্দর হওয়ার পরও পর্যটনে অনিরাপদ দেশের তালিকায় ১৪ নম্বরে রয়েছি আমরা। কক্সবাজার আমাদের এমন একটি জায়গা ছিল যেখানে যত রাতই হোক সৈকতে ঘুরে বেড়ানো যেত। হোটেল, বিচ, আশেপাশের পর্যটন এলাকাগুলো ছিল ভ্রমণকারীদের জন্য স্বর্গরাজ্য। হ্যাঁ, আমাদের বিচ ব্যংকক-পাতায়ার মতো উৎসবমুখর নয়। কিন্তু নিরাপদ ছিল অন্তত!

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন হতে যাচ্ছে। বাড়তি এই জনতা পর্যটনের নিরাপত্তাকে ফেলছে হুমকীর মুখে। কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াতুর রহমান কক্সবাজারের পরিবেশ নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের মাঝেই রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তাই পুলিশ, বিজিপি এবং প্রশাসনের সব পর্যায় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও তিনি মত দেন। নাহলে কক্সবাজার পর্যটনশিল্পকে বাঁচানো যাবে না।

কক্সবাজার এলাকার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির মুখপাত্র মো. কলিমুল্লাহ একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিল তিল করে গড়ে তোলা পর্যটনবান্ধব পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, এখন এই আশঙ্কা আরও বেড়ে গেল বলে মনে করেন তিনি।
ইতিমধ্যেই কক্সবাজার এবং এই সংলগ্ন এলাকায় রোহিঙ্গাদের কারণে মাদক, চোরাচালান, ইয়াবা ব্যবসাসহ পতিতাবৃত্তি বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গৃহহারা অসংখ্য মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি তাদের এবং নিজ দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব থেকেই কক্সবাজারকে সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। 

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর.কম

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে- https://www.priyo.com/post