কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এমন লোভনীয় ছবি দেখে জিবে জল তো আসবেই! ছবি: ম্যাডশেফ

রিভিউ : মাত্র ২২০ টাকায় দারুণ একটি চীজ বার্গার

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৭, ২২:৪৭
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭, ২২:৪৭

(প্রিয়.কম) সুপ্রিয় পাঠকেরা, প্রিয় লাইফে আপনাদের স্বাগতম। আপনাদের জীবনকে আরও একটু সহজ করতে, নানান রকম পণ্য ও সেবার রিভিউ ও খোঁজ-খবর তুলে ধরতে এখন থেকে আমাদের নিয়মিত আয়োজন থাকবে  "প্রিয় রিভিউ"।  আপনার কষ্টের টাকায় যেন সেরা পণ্যটি  বেছে নিতে পারেন, সেটাই আমাদের কাম্য। রেস্তরাঁ থেকে কসমেটিক্স, পোশাক থেকে জুতো, আসবাব, রান্নাঘর সামগ্রী, সব মিলিয়ে নিত্যদিনের জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন সকল প্রকারের পণ্য ও সেবার ভালো-মন্দ সকল দিকই তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে আমাদের এই আয়োজনে।

ইদানিং সারা ঢাকাতেই বার্গারের বিভিন্ন চেইন রেস্টুরেন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর মাঝে জনপ্রিয় একটি বার্গার প্লেস হলো ম্যাডশেফ। বাসার আশেপাশে ভালো বার্গারের খোঁজ করতে করতে সম্প্রতি খুঁজে পাই ম্যাডশেফের ক্লাসিক চীজ বার্গার। একজন খাদ্যপ্রেমীর দৃষ্টিকোণ থেকে খাবারটির ভালো-মন্দ তুলে ধরার চেষ্টা রইলো।

ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা বা খিলগাঁও এলাকার মানুষ যে ভালো রকমের ফুডি তা বোঝা যায় ওইসব এলাকার হাজারটা ফাস্টফুডের দোকান দেখলেই। সেই তুলনায় মিরপুরে তেমন পরিচিত কোনো ফাস্টফুড চেইন নেই বললেই চলে। মিরপুরে ম্যাডশেফ আছে শুনে খুশি হয়ে গেলাম, আবার সেই খুশিটাই চুপসে গেলো ফেসবুক নিউজফিডে কয়েক বন্ধুর থেকে তেমন একটা ভালো রিভিউ না পাওয়াতে। কোনো ওয়ার্নিং ছাড়াই একদিন বার্গার খাওয়ার ক্ষুধা অ্যাটাক করায় ভাবলাম, যা আছে কপালে। নিজেই পরখ করে দেখি ভালো লাগে নাকি খারাপ!

দারুণ মুখরোচক ম্যাডশেফের বার্গার

২২০ টাকার ক্লাসিক চিজ বার্গার। ছবি: ম্যাডশেফ

কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন?

যেমন ভাবা তেমন কাজ, বের হয়ে পড়লাম। বের হবার আগে ম্যাফশেফ মিরপুরের ফেসবুক পেজ দেখে নিলাম। গোর্মে (Gourmet) বার্গারগুলোর বর্ণনা পড়ে যে কারো মনে হতে পারে স্বপ্ন দেখছে। পনিরের ছড়াছড়ি “ঢাকাইয়া”, সসেজে ভরপুর “মাদাম লুসি”, যারা একটু ভারি বার্গার পছন্দ করেন তাদের জন্য আবার আছে “মাইটি স্পাইসি চিক” অথবা “চীজাজ”। দোটানায় পড়ে গেলাম বইকি। কিন্তু সব ভেবেচিন্তে ক্লাসিক চীজ বার্গার অর্ডার দিলাম। প্রথম বার, একটু সাবধানে সাধারণ কিছুই খাই। তার ওপরে মাসের শেষ দিকে পকেট হালকা। ক্লাসিক চীজ বার্গারের প্যাটি হলো বীফ। এর সাথে দুই ধরণের চীজ। প্রাইসটা হলো ২২০/- টাকা। এছাড়াও কয়েকটা প্ল্যাটার, সাইড ডিশ, মকটেইলের অপশন আছে তাদের মেনুতে।

বার্গারের "গুণাগুণ"

একদম গরম গরম বার্গারটা আপনার সামনে এসে পড়লে একটু অবাক হতে পারেন কেউ কেউ, বার্গারের সাইজটা অন্যান্য জায়গার বিশাল বিশাল বার্গারের মতো নয়, একটু ছোট। কিন্তু পেট ভরানোর জন্য যথেষ্ট। বার্গারের সাথে থাকবে মাস্টার্ড এবং সস। বার্গারে কামড় দিয়ে মোটামুটি মাথা শর্ট সার্কিট হয়ে যাবে। স্বাদটা দারুণ। যতক্ষণে মনে হলো “একটা ছবি তুলে রাখলে ভালো হতো”, ততক্ষণে বার্গার শেষ করে আমি হাত চাটছি। চীজ আর বিফ প্যাটি দুটোরই ফ্লেভার খুব সুন্দর। কারো কারো কাছে একটু ড্রাই মনে হতে পারে। কিন্তু স্বাদটা নিয়ে আসলে কোনো অভিযোগের সুযোগ নেই।

পরিবেশ কেমন?

ম্যাডশেফ মিরপুর বেশ সুন্দর, পরিষ্কার, খোলামেলা একটা রেস্টুরেন্ট। খোলা থাকে সকাল ১১টার পর থেকে। আশেপাশের স্কুল-কলেজের কিশোর-তরুণ কাস্টোমারই বেশি। অর্ডার দেবার পর খাবারের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, ১০-১৫ মিনিটের মাঝেই হয়ে গেছে। তবে আমি গিয়েছিলাম এমন সময়ে যখন কাস্টমার কম। ভীড়ের সময়ে সার্ভিস টাইম বেশি লাগতে পারে। স্টাফ একটু স্লো, তবে সার্ভিস এবং আচরণ ভালো।

মোট কথা, বার্গার ভালোবাসলে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন মিরপুর ম্যাডশেফ এবং চেখে দেখতে পারেন ক্লাসিক চীজ বার্গার। বৈচিত্র্য চাইলে কামড় বসাতে পারেন গোর্মে বার্গারগুলোতেও।

এই ছিলো আজকের রিভিউ। এখানে খাওয়ার অভিজ্ঞতা যদি আপনারও থেকে থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট আকারে আমাদের লিখে জানান। সেরা কমেন্টগুলো আমরা গ্রাহকের কমেন্ট হিসাবে যোগ করে দেব আমাদের এই ফিচারের সাথে!

সম্পাদনা: রুমানা বৈশাখী