ছবি সংগৃহীত
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি
আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৭, ০৮:০৪
ফাইল ছবি
(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সমর্থন থাকার অভিযোগ এনে তার অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
১ মার্চ বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই স্মারকলিপি পাঠান তিনি। স্মারকলিপিতে ইউনুছ আলী কয়েকটি পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে বলেন, ‘মন্ত্রীর বাসায় গণবিরোধী ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন মন্ত্রী হয়ে জনদুর্ভোগ হয় পরিবহন শ্রমিকদের এমন ধর্মঘটে তিনি সমর্থন দিতে পারেন না। এই ধর্মঘটে সম্পৃক্ততা থাকায় তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং মন্ত্রী হিসেবে শপথ ভঙ্গ করেছেন’।
ইউনুছ আলী আরও জানান, সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শাজাহান খান আর মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে ৫৬(২) অনুযায়ী মন্ত্রী শাহাজাহান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ পরিবহন মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে আজকের মধ্যে কার্যকর সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ ছাড়া বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের পরিবহন ভবনে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট নিরসনে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।
প্রসঙ্গত, তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় চালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন সাজার রায় হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং পরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা। দু’দিন পরিবহন ধর্মঘট চলার পর সোমবার প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও পরে শ্রমিক নেতারা কর্মসূচি বহাল রাখার কথা বলেন।
এর মধ্যে ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকার আদালতে ট্রাকচালক মীর হোসেনের ফাঁসির রায় হলে ওই দিন রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে চলে যায়।
২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিবহন ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন/শান্ত