গুরমতি রাম রহিম সিং। ছবি: সংগৃহীত
নারীদের ধর্ষণ করে ‘শুদ্ধ’ করতেন রাম রহিম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:০৪
(প্রিয়.কম) ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত সিংহ রাম রহিম নারীদের ধর্ষণ করে ‘শুদ্ধ’ করতেন বলে তিনি অনুসারীদের কাছে দাবি করতেন।
দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আদালতে এ তথ্য দেন ধর্ষণের শিকার এক নারী। এ ছাড়া আরও অনেকের মতো এই নারীও রাম রহিমের ডেরার ‘সাধ্বী’ ছিলেন বলে তিনি জানান।
আদালতে ওই নারী বলেন, রাম রহিম নারী অনুসারীদের ধর্ষণের আগে বলতেন, তারা পূর্বের কৃতকর্মের জন্য অপবিত্র হয়ে আছেন। তিনি ‘ঈশ্বর’, তার সঙ্গে থাকলে ওই নারীরা ‘শুদ্ধ’ হবেন। এতে পূর্বের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা মিলবে।
এ ছাড়া আদালতের রায়ে ওই নারীর বরাত দিয়ে বলা হয়, ধর্ষণের ঘটনার আগে ওই নারীকে কিছু ‘সাধ্বী’ জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে পিতাজি (রাম রহিম) তাকে ‘মাফি’ দিয়েছেন কি না? তবে সে সময় তিনি এ প্রশ্নের অর্থ বুঝতে পারেনি। ওই নারীদের কাছে মানে জানতে চাইলে তারা হাসতেন।
১৯৯৯ সালের ২৮ ও ২৯ আগস্ট ওই নারীর ডাক পড়ে রাম রহিমের ডেরায়। সেদিন কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেন ওই নারী। রাম রহিম তাকে ধর্ষণ করেন। আর এর পরেই তিনি বুঝতে পারেন ‘মাফি’র অর্থ কী।
দ্বিতীয়বার যখন রাম রহিমের কক্ষে ওই নারীর ডাক পড়ে, তিনি যেতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে তাকে যেতে হয়। তিনি সবকিছু তার ভাইয়ের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন রাম রহিমকে। ওই নারীর ভাইও রাম রহিমের ডেরায় থাকতেন। জবাবে রাম রহিম বলেন, তোমার ভাই এ কথা বিশ্বাস করবে না। আর যদি বিশ্বাস করে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।
ওই নারী আরও বলেন, দ্বিতীয়বারের প্রায় ছয় মাস পর আবারও রাম রহিমের কক্ষে ডাক পড়লে তিনি তার ভাইকে সবকিছু খুলে বলেন। পরে ওই ভাই তার আরও দুই বোনসহ ডেরা থেকে পালিয়ে যান।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল