কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত সিং রাম রহিম। ছবি: সংগৃহীত

রাম রহিম এখন কথা বলছেন জেল-কুঠুরির দেওয়ালের সঙ্গে!

আশরাফ ইসলাম
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৭
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৭

(প্রিয়.কম) ধর্ষণের দায়ে গত ২৮ আগস্ট ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত সিং রাম রহিমের ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অাদালত। একটা সময় ছিল যখন ভক্তরা রাম রহিমের ‘বাণী’ শোনার জন্য মুখিয়ে থাকতেন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই স্বঘোষিত এই গুরুর কথা শোনারই কেউ নেই। আর এ কারণেই নাকি রাম রহিম এখন কথা বলছেন জেল-কুঠুরির দেওয়ালের সঙ্গে।

স্বঘোষিত এই আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুর হরিয়ানার সিরসায় বিশাল ডেরার আয়তন প্রায় ৭০০ একর। গাড়ির সংখ্যা ১৭০টিরও বেশি। ডেরায় আরও রয়েছে ব্যক্তিগত ডিজনিল্যান্ড। এই ডিজনিল্যান্ডের ভেতর আইফেল টাওয়ার, ক্রুজ জাহাজ ও তাজমহলসহ বিখ্যাত ভবনের আদলে রিসোর্ট তৈরি করেছিলেন তিনি। ডেরার ভেতর মোট ১৫টি রিসোর্ট রয়েছে। সেই বিলাসবহুল জীবন থেকে রোহতকের সুনারিয়া জেলের ৮ বাই ৮ ফুটের কুঠুরি। এই জেলেই এক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেললেন গুরমিত রাম রহিম সিংহ। 

জেল সূত্রে খবর, দু’দিন আগেই রাত হলেই বাবা কান্নাকাটি শুরু করতেন। চিৎকার করে প্রশ্ন করতেন, ‘আমি কী ভুল করেছি? আমার কী দোষ?’ আর এখন রাত হলেই শুরু হচ্ছে বাবার দেওয়ালের সঙ্গে বকর বকর। আর রাম রহিমের এই সব কাণ্ডে জেলের অন্য বন্দিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

দলিত নেতা স্বরাজ কিরাদ সম্প্রতি ওই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুনারিয়া জেলে সবার নজর এখন স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর দিকে। তাই যে সব জেলবন্দির রিলিজ অর্ডার বেরিয়ে গিয়েছে বা যাদের জামিনের সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে, তাদেরও সমস্ত কিছু আটকে গিয়েছে রাম রহিমের কারণে। যে কারণে ক্ষুব্ধ জেলের অন্য কয়েদিরা।

উল্লেখ্য, শুধু ধর্ষণ মামলাই নয়, রাম রহিমের মাথার ওপর ঝুলছে দু’টি খুনের মামলাও। ২০০২ সালে ধর্ষণের কথা জানিয়ে দুই সাধ্বী চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটোলবিহারী বাজপেয়ীকে। ওই দুই সাধ্বীর মধ্যে একজন ছিলেন ডেরা ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহের বোন। ‘দেশ সেবক’ নামের একটি পত্রিকায় এই চিঠি প্রকাশ করেন সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি। অভিযোগ, এরপরেই রঞ্জিত সিংহ এবং ছত্রপতিকে খুন করান রাম রহিম। আগামী মাসেই শুরু হবে সেই মামলার শুনানি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রিয় সংবাদ/মিজান