কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতর। ফাইল ছবি

ডেরায় রাম রহিমের হাসপাতালে মিলল গর্ভপাতের প্রমাণ!

ইতি আফরোজ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২১
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২১

(প্রিয়.কম) ভারতের বিতর্কিক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের ডেরায় অত্যাধুনিক হাসপাতালের কয়েকদিন আগে খোঁজ মিলে। প্রত্যাশিত ভাবে যে হাসপাতালের প্রধান রাম রহিম নিজেই। এবার মিলল সেই হাসপাতালে দেদার গর্ভপাতের প্রমাণ। পাঞ্জাব পুলিশ এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছে।

সূত্র মতে, রাম রহিমের ডেরার অত্যাধুনিক হাসপাতালে গর্ভপাত করানোর কাজে বিন্দুমাত্র সরকারি অনুমতির তোয়াক্কা করা হত না। তবে তদন্তকারীদের দাবি, যে সব নারীর গর্ভপাত করানো হয়েছে, তাদের পর্যাপ্ত নথি মেলেনি হাসপাতাল থেকে। 

গত দু’সপ্তাহ ধরে রোহতকের জেলে বন্দি রয়েছেন ‘ধর্মগুরু’ রাম রহিম। রাম রহিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে জেল কর্তৃপক্ষ শনিবার একদল চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। সেই দলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞও ছিলেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাম রহিম এক ধরনের উইথড্রয়াল সিম্পটমে ভুগছেন। কারণ সে ‘সেক্স অ্যাডিক্ট’। জেলে বসে শারীরিক সুখ থেকে বঞ্চিত হয়েই রাম রহিম ছটফট করছে। এই অবস্থায় রাম রহিমের চিকিৎসার প্রয়োজন। দেরি হলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা মন্তব্য করেছেন।

পাশাপাশি এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে বাবা রাম রহিম মাদকাসক্ত কিনা। জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত রাম রহিম মদ্যপান করত। এখন মদ না খেলেও এনার্জি ড্রিঙ্ক ও বিদেশ থেকে আনা সেক্স টনিক নিত রাম রহিম। এমনটাই দাবি প্রাক্তন ডেরা সদস্য গুরদাস সিং তুরের।

রাম রহিম অবশ্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি। আদালতে এও বলেছিলেন যে, তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম। ১৯৯০-এ যখন তিনি ডেরা প্রধান হন, তখন সকলের সামনে ঘোষণা করেন, পরিবারকে পরিত্যাগ করছেন, সাধারণ মানুষের মতো আর কোনো কামনা বাসনা তার নেই।

৮ আগস্ট রোহতকের সুনারিয়া জেলে ধর্ষণের দায়ে ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিমের ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে প্রতিটিতে ১৫ লাখ রুপি করে মোট ৩০ লক্ষ রুপি জরিমানা করা হয় এই বিতর্কিত ‘ধর্মগুরু’কে। এই রায় ঘোষণা করেন সিবিআই আদালতের বিচারক।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত