কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বন্যার পানিতে ডুবে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফাইল ছবি

বন্যায় রাজশাহীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাড়ে ৮ কোটি টাকা

রফিকুল ইসলাম
কন্ট্রিবিউটর, রাজশাহী
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১০:৩৮
আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১০:৩৮

(প্রিয়.কম) উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে রাজশাহী বিভাগের ৬৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এসব বিদ্যালয়ে। এ পর্যন্ত ১১টি বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি প্রবেশে করেছে ৫৪৭টিতে। এছাড়া বন্যা দুর্গতের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ১১০টি বিদ্যালয়। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি ৩৮ লাখ ২৮ হাজার ৫১৪ টাকা।

রাজশাহী বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের আট জেলার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় সবার উপরে নওগাঁ। সেখানকার ১৪৮ বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে জেলার একটি বিদ্যালয়। পাঠদান বন্ধ রয়েছে ১৬০টিতে। ৫০টি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। জেলার বিদ্যালয়গুলো সংস্কারে খরচ হবে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫ হাজার টাকা।

বন্যায় সিরাজগঞ্জের ২৬০ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঠদান বন্ধ রয়েছে বন্যা কবলিত ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নদীগর্ভে চলে গেছে জেলার ৮টি বিদ্যালয়। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ৩২টি। এসব বিদ্যালয় চালুর উপযোগী করতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

বগুড়ার ১১০ বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৭৬টির। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ১০টি বিদ্যালয়। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

নাটোরে বন্যায় ৭৯টি বিদ্যালয়ে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৫৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়ায় এখানকার ১৩টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ৬টি বিদ্যালয়। পাবনার ৩৯টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৫৩ লাখ ১০ হাজার ৪০০ টাকা। এখানকার ১৯টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বন্যা কবলিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ১১টির। ১১টিতে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিতরা। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭০ হাজার। বন্যায় জয়পুরহাটের ছয়টি এবং রাজশাহীর ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে এ দুই জেলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা করে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক আবুল খায়ের বলেন, বন্যাকবলিত প্রত্যেক বিদ্যালয়ের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। পরে ওই তালিকাগুলো তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বন্যার পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় সংস্কার করে পাঠদান চালু হবে। শিখন কার্যক্রমের ঘাটতি কাটাতে অতিরিক্ত সময় পাঠদান চলবে। এ ব্যাপারে প্রত্যেক উপজেলা পরিষদের সহায়তাও নেওয়া হবে।

এদিকে ২৪ আগস্ট ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়বে। তিনি বলেন, ‘বন্যায় যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সাধারণ মেরামত কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। আবারও পূর্নাঙ্গ তালিকা করে ছোট-বড় সব ধরনের মেরামতের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’

প্রিয় সংবাদ/শিরিন