কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল উদযাপন। ছবি: প্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপিত

মংক্যথোয়াই মারমা
কন্ট্রিবিউটর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০৬
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০৬

(প্রিয়.কম) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। ১৭ সেপ্টম্বর রোববার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববিদ্যা অনুষদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববিদ্যা অনুষদের ২ নং গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের কর্মসূচিগুলো মধ্যে ছিল -কথামালা, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি।

অনুষ্ঠানটি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বাঙালির ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সর্বমহিমান্বিত কর্ণধার, শক্তিমান প্রাণপুরুষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রূপকার। বহুমুখী অনন্য সাধারণ প্রতিভায় তিনি দীপ্ত করেছেন বাংলাসাহিত্য ও সংগীতকে। বাংলাভাষা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে নোবেলবিজয়ী এই কবি তুলে ধরেছেন বিশ্বসভায়, মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের। তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত গণমানুষের মুক্তির দিশারী নজরুলের আগমন এক অশান্ত ও দূরন্ত ঝড়োহাওয়ার মতো। নতুন যুগের অগ্রদূত সাম্য-স্বাধীনতা, প্রেম-দ্রোহের কবি নজরুল তার লেখনীতে পালাবদল ঘটিয়েছেন কবিতা, সংগীতে, মেজাজে ও বক্তব্যে, কাব্য দৃষ্টিতে ও জীবন জিজ্ঞাসায়। বাংলাভাষা সাহিত্যে এই দুই প্রাণপুরুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদের উর্দ্ধে ওঠে মানবতার জয়গান রচনা করেছেন।

উপাচার্য তরুণ সমাজকে রবীন্দ্র-নজরুলকে সঠিকভাবে ধারণ করে সকলপ্রকার অন্ধকার, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতাসহ নেতিবাচক কর্মকান্ডকে সংহার ও নিধন করে মানবমুক্তি তথা আলোর পথের যাত্রি হয়ে এগিয়ে চলার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, বাঙালির সাংস্কৃতিক জাগরণে রবীন্দ্র-নজরুল অন্যতম পথ প্রদর্শক। এই দুই মণীষী বাঙালিকে স্বদেশ চেতনায় জাগিয়ে তুলতে আমৃত্যু যে রসদ যুগিয়েছেন তাই আমাদের সম্পদ। তিনি আরও বলেন, এই দুইজন ছিলেন বাঙালি ও বৈশ্বিক। তাঁরা ব্যক্তির সাথে ঘটিয়েছেন বিশ্বের মেলবন্ধন। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে রবীন্দ্র-নজরুল অপ্রাসঙ্গিক হয়ে না যায় এ জন্য তরুণ সমাজকে তিনি রবীন্দ্র-নজরুলকে সঠিকভাবে ধারণ করার আহবান জানান। চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চ.বি. বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগীত বিভাগের সভাপতি ও উক্ত অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুকান্ত ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চ.বি. দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মাছুম আহমেদ। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়পর্বে চ.বি. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার-এর পরিচালনায় অতিথি শিল্পী হিসেবে আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান ও মিলি চৌধুরী এবং সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কাবেরী সেনগুপ্তা। এ ছাড়াও ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনবদ্য পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল