কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পিছিয়ে যাচ্ছে ফোরজি চালুর প্রক্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পিছিয়ে যেতে পারে ফোরজি চালুর প্রক্রিয়া

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:০৪
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:০৪

(প্রিয়.কম) চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা ফোরজি বিষয়ক নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় সেবাটি চালুর প্রক্রিয়া ঝুলে যাচ্ছে। একই কারণে আটকে আছে নিলামের দিনক্ষণও।

সরকার চাইছে এই বছরের মধ্যেই ফোরজি সেবা গ্রাহকের হাতে হাতে পৌঁছে দিতে। কিন্তু এটা অাদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান খোদ অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারাই।

নানা জটিলতার মারপ্যাচে আটকে পড়া প্রক্রিয়াটির নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন সময় প্রয়োজন হবে সেবাটি চালু করতে। তাছাড়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফোরজি নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আভাস মিলছে না বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফোরজি নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান বিভিন্ন জটিলতা নিরসন করতে বেশি কিছু নির্দেশনা দেন জয়। সভায় বিটিআরসির সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয়েরও সমাধান করতে বলে দ্রুত নীতিমালা নির্ধারণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

জয়ের সঙ্গে অপারেটরদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান নীতিমালায় থাকা বিনিয়োগের প্রক্রিয়াটি বদলে নতুন বিনিয়োগের জন্য বিদেশ থেকে অর্থ আনার পাশাপাশি দেশীয় উৎস থেকেও অর্থের সংস্থান করা যাবে। করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) মাধ্যমে অর্থ খরচ করতে হলে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে নীতিমালায় পরিবর্তন আনার কথাও ওই বৈঠকে বলা হয়।

একই সঙ্গে কল রেকর্ডের তথ্য ১২ বছরের পরিবর্তে ২ বছর করা, সরকারের সঙ্গে আয় ভাগাভাগির অনুপাত কমিয়ে আনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।

বৈঠকটির পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরুর আগে গত ৩০ অক্টোবর সোমবার বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে। এসময় চলতি বছরের মধ্যে ফোরজি চালুর ক্ষেত্রে যথেষ্ট আশার আলো দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন অংশ নেওয়া একটি অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তা।

অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা মনে করছেন, ফোরজি নীতিমালা যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হয়েও যায় তরঙ্গের নিলাম করাসহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে অন্তত ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু এখন নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়া নিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা।  

জানা যায়, মোবাইল ফোন অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে সঙ্গে নীতিমালা বিষয়ে উপদেষ্টা জয়ের বৈঠকের কার্যবিবরণী এখনও সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছায়নি। যার কারণে নীতিমালায় সংশোধন আনার প্রক্রিয়া শুরু সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দেশে না থাকায় নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদনেও সময় লাগবে। 

নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হলে খসড়া প্রস্তাবটি প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের হাত ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ে যেতে হবে অনুমোদনের জন্য। যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোরজি নীতিমালা অনুমোদন করেন। অপারেটরগুলো তা হাতে পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩টি আপত্তি জানায়। আপত্তিগুলো নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা। এসময় প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার মূল্য নির্ধারণ বিটিআরসির ওপর ছেড়ে দেন প্রযুক্তি উপদেষ্টা।

জানা যায়, বর্তমানে ৭৫ লাখ ডলার নির্ধারণ করা প্রতি মেগাহার্ডজ স্পেকট্রামের প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার ফি ৫০ লাখ ডলারের নিচে নামাতে চায় না বিটিআরসি। কিন্তু অপারেটরগুলো ২০ লাখ ডলারের বেশি দিতে আগ্রহী নয়।

প্রিয় টেক/মিজান