কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বৈঠকে তোফায়েল আহমেদ ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশোপ। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারকে চাপ দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:১০
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:১০

(প্রিয়.কম) রাখাইন রাজ্যে থেকে সেনা নির্যাতনের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন দেশটি সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত জার্মান-অস্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে যোগ দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি এ আহবান জানান তিনি।

৫ নভেম্বর রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে তোফায়েল আহমেদ ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশোপে’র সাথে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি পত্রও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৈঠকে তোফায়েল আহমেদ বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পোড়ানো, গণহত্যা, ধর্ষণসহ নানাভাবে নির্যাতন করছে, ফলে প্রাণ বাঁচাতের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে এসব রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ যথাসম্ভব সব ধরনের মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের ফিরিয়ে নিতে নানা কৌশলে মিয়ানমার সরকার বিষয়টিকে বিলম্বিত করছে। তাই আগত এসব রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন এবং বিশ্ব জনমত গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন। 

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে, সেজন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কার্গো বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে, তা পুনরায় চালু করা যেতে পারে। কেননা বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত