কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিতে বিমানে ওঠার আগে পোপ ফ্রান্সিস। সংগৃহীত ছবি

পোপ কি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করবেন?

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫২
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫২


(প্রিয়.কম) ধর্মীয় সফরের অংশ হিসেবে মিয়ানমারে পৌঁছেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। দেশটির নেত্রী অং সান সু চির আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সফরে তাকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর আগে ‘রোহিঙ্গা ভাই-বোন’ সম্মোধন করা পোপ এবার সেই শব্দটি ব্যবহার করেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

চলতি বছরের মে মাসে ভ্যাটিকান সফরের সময় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি পোপকে মিয়ানমার সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য এই সফরের আগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করতে সতর্ক করে দেয়। বলা হয়, তিনি এই শব্দ ব্যবহার করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে কখনওই রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে না। সংখ্যালঘু এই মুসলিম সম্প্রদায়কে তারা বিবেচনা করে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে।

এর আগে মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে বর্নণা করতে গিয়ে ‘আমাদের রোহিঙ্গা ভাই এবং বোন’ বলে সম্মোধন করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।

মিয়ানমারে পোপের এই সফরে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। ইয়াঙ্গুনে তাকে স্বাগত জানাবেন মিয়ানমারের ছয় লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী।

মিয়ানমারে তিনদিন সফরের পর বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছাবেন বাংলাদেশে। ১৯৮৬ সালের পর প্রথম কোনো পোপ বাংলাদেশ সফরে আসবেন।

বাংলাদেশ সফরের সময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে পোপের। ৮০ বছর বযস্ক পোপ বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার আর মধ্যপন্থী আদর্শের জন্য সুপরিচিত।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে আসা শরণার্থীরা ওই সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আর সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দায়ী করছে।

এই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ আর মিয়ানমার গত সপ্তাহে একটি চুক্তি সই করেছে। তবে সাহায্য সংগঠনগুলো বলছে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না।

সূত্রগুলো বলছে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে ছয়দিনের সফরে দুই দেশকে আলোচনার মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনের ওপর জোর দেবেন পোপ।