ইয়াঙ্গুনের জনসমাবেশে ভাষণ দেন পোপ। সংগৃহীত ছবি
পোপের ইয়াঙ্গুনের ভাষণেও নেই ‘রোহিঙ্গা’
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:২৩
(প্রিয়.কম) মিয়ানমার সফরের শেষ দিনে ইয়াঙ্গুনের জনসমাবেশেও ভাষণ শেষে করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। এর আগের দিন সফরের মূল ভাষণের মতো এখানেও অনুপস্থিত থাকল রোহিঙ্গা শব্দটি। খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ক্ষমার বার্তা ছড়িয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশ শুরু হয় অর্গানের সুরের মূর্ছনায়। বার্মিজ ভাষায় হ্যালো উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তিনি তার ভাষণ শুরু করেন। দেড় লাখ মানুষের এই সমাবেশে তিনি বলেন, ‘এখানে জীবন্ত চার্চ দেখতে পাচ্ছি’।
পোপ বলেন, ‘মিয়ানমারের মানুষ দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সহিংসতার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি শ্রোতাদের আরও বলেন, ‘রাগের বদলে ক্ষমা আর সহমর্মিতা দিয়ে এর উত্তর দেওয়া উচিত’।
এর আগে সমাবেশে পৌঁছে তিনি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। অনেকেই তখন মিয়ানমারের পতাকার পাশাপাশি রংবেরংয়ের পতাকা নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
শান প্রদেশে থেকে আসা ৮১ বছর বয়স্ক মেও বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবিনি জীবনে তাকে দেখতে পাব’।
দেড় লাখ মানুষ সমবেত হয় পোপের সমাবেশে। সংগৃহীত ছবি
এর পরে দেশটির বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গে পোপের দেখা করার কর্মসূচী রয়েছে।
২৭ নভেম্বর সোমবার তিনি মিয়ানমার পৌঁছান। বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই সফরে সবার দৃষ্টি ছিল তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেন কী না তার ওপর।
মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ মানুষ গত কয়েকমাসের সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
এই সফরে পোপ সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাং ছাড়াও বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে দেওয়া মূল ভাষণেও রোহিঙ্গা শব্দের উচ্চারণ করেননি পোপ। তিনি বলেন, ‘অধিকার আর ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা’ শব্দ উচ্চারণ করেই থেমে যান তিনি।
প্রিয় সংবাদ/আশরাফ