মঙ্গলবারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। ছবি: ফোকাস বাংলা
দেশে মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ শতাংশ
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৩
(প্রিয়.কম) ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাক্কলিত হিসাবের চেয়ে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.২৮ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ১৬০২ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১০ মার্কিন ডলার।
১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসেবে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ০.০৪ শতাংশ বেড়েছে এবং মাথাপিছু আয় ৮ মার্কিন ডলার বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে জিডিপির আকার ২৪ হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার। তবে এর আকার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে স্বাধীনতার পর ৩৪ বছর লেগেছে। বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া ও কম্বোডিয়া- কেবল এই তিনটি দেশেই পরপর দু’বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হলো।
তিনি আরও বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা ৬ এর বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ২০১৯ সালে এটাকে আমরা ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারব।
তিনি জানান, সরকারের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধিকে ৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। তাহলে ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো দেশে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরে জিডিপির ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। এর আগের বছর এই হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, বিবিএসের হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, শিল্পখাতে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং সেবাখাতে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ১৪৬৫ মার্কিন ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১১ শতাংশ।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত