অরিনের আর্টওয়ার্কের একটি ঝলক, ছবি কৃতজ্ঞতা: তাসনিয়া রকিব অরিন
শিল্পের মাধ্যমেই নিজেকে প্রকাশ করে যে মেয়েটি...
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:২৩
(প্রিয়.কম) দেখতে ভারি মিষ্টি এ মেয়েটি। প্রথম যখন পরিচয় হলো, তখন ছবি দেখে ভেবেছিলাম বয়সে হয়তো অনেক ছোট আর লাজুক হবে সে। কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই জানতে পারলাম, মেয়েটি মোটেও লাজুক নয়। বেশ দারুণ একজন আর্টিস্টও! বেশ অবাক হলাম যখন তার করা কাজগুলো দেখলাম। আমাকে আরো অবাক করে দিয়ে মেয়েটি জানালো যে সে একজন বিজনেসম্যানও বটে।
বলা হচ্ছে, তাসনিয়া রকিব অরিনের কথা। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) তে আর্কিটেকচারে তৃতীয় বর্ষে পড়ছে সে। ছোটবেলা থেকেই টুকটাক আঁকাআঁকি করা হয় তার। এটা অনেকটা আর অস্থি-মজ্জায় মিশে আছে।
অরিনের কাছে জানতে চাইলাম কবে থেকে বিজনেস হিসেবে নিলো আর্টকে। তখনই শুনলাম মজার এক গল্প, তার স্কাল্পচারের একটি বিষয় ছিলো। সে ক্লাসটি শিল্পী হামিদুজ্জামান স্যার নিতেন। সে ক্লাসে ওদের একটা ওয়াটার কালার পেইন্টিং এবং একটি অ্যাক্রাইলিক পেইন্টিং সাবমিশন ছিলো। ভালোমতই জমা দিলো অ্যাসাইনমেন্টটি। এর থেকেই তার মনে হলো বিজনেস হিসেবে এটি নিলে খুব একটা মন্দ হয়না!
শুরুটা অবশ্যই বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো অরিনের জন্য। প্রথমে একটা পেইজ খুললো। অতঃপর সেখানে পেইন্টিং এর কিছু ছবি দিলো। কিছু গার্লস গ্রুপে পোস্ট দিলো পেইজ ও আর্টের ব্যাপারে। সেখান থেকেই সে প্রথম অর্ডার পেয়েছিলো।
ধীরে ধীরে এখন কাজ করতে করতে তাঁর আঁকা আঁকির হাত আরো ভালো হচ্ছে। অনেক নতুন কিছু শিখছে সে।
এবার জানতে চাইলাম বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্যান্যরা কেমন উৎসাহ দিচ্ছেন তাঁকে। বেশ সন্তোষজনক উত্তর দিলো অরিন। তার বাবা ও মা দু'জনেই বেশ অনুপ্রেরণা দেন ওকে যেন সুষ্ঠু পথে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। পথে হোঁচট খেলেও যেন কখনো থেমে না পড়ে। বাবা-মায়ের জন্যই আজ ও এখানে অবস্থান করছে।
আমাদের করণীয় প্রতিটি কাজেরই কিছু না কিছু উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকে। তেমনি অরিনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো খুব ভালো একজন আর্কিটেক্ট হওয়া এবং সেই সাথে ভালো আর্টিস্ট হওয়া। একটা কথা জানলে পাঠকেরা অবাক হবেন যে, এই এতোটুকু বয়সে অরিন তার পেইন্টিং বিক্রির অর্থ মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে। ভাবা যায়, এতোটুকু মেয়েটার দৃষ্টি কতোটা ব্যাপ্ত?
অন্যান্য শিল্পীদের মতন অরিনেরও কিছু না বলা কথা আছে। তার খুব ইচ্ছা ছিলো আর্ট শেখার কিন্তু কখনো সুযোগের অভাবে শিখতে পারেনি। নিজে নিজে সব মনের কল্পনা ও অনুধাবন দিয়ে শিখেছে। বাবা-মাকে পাশে পেয়েছে সব সময়, এটিই ওর জীবনে পরম পাওয়া।
অরিনের ফেসবুক পেইজ 'হ্যান্ড ক্র্যাফট প্রজেক্টস' এর বয়স মাত্র আট মাস এবং ওর আঁকাআঁকির বয়স হলো দশ মাস। কারো কোন সাহায্য ছাড়া এমনকি ইউটিউবের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজেই শিখেছে সব। ছোটবেলা থেকে সামনে যা-ই দেখতো সব হুবহু আঁকতে পারতো অসম্ভব মেধাবী এ মেয়েটি!
চলুন এবার এক ঝলকে অরিনের কিছু ওয়ালপেপার, আর্ট ও পেইন্টিং দেখে আসা যাক-
রোমান্টিক যুগল হেঁটে যাচ্ছে অনন্তের পানে, ছবি কৃতজ্ঞতা: তাসনিয়া রকিব অরিন
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ক্যারিয়ার
- তারুণ্য
- আর্ট
- মেধাবী