কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের বালুখালীতে গড়ে উঠেছে আশ্রয় শিবির। ছবি: ফোকাস বাংলা

রোহিঙ্গা সংকট: প্রয়োজনীয় অর্থের ৬৬ শতাংশ এখনও মেলেনি

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৩৮
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৩৮

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ৩৪ শতাংশ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ অর্থ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় গঠিত ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ। ৪ ডিসেম্বর সোমবার শরণার্থী সংকটের শততম দিনে গ্রুপটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারে ৮ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ লাখ ২৫ হাজার ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ সব রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ মোট ১২ লাখ মানুষের জন্য ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজনীয় এ অর্থের মাত্র ৩৪ শতাংশ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেছেন, ‘মানবাধিকার সংস্থাগুলো দিনরাত কাজ করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, জরুরি ভিত্তিতে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন আর প্রতিবন্ধকতাও অনেক। জরুরি ভিত্তিতে যে বিপুল পরিমাণ সহায়তা দরকার তা পূরণ করা যাচ্ছে না। এ জন্য আরও অর্থায়ন প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, কিন্তু জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোর অবস্থার উন্নতি করতে হলে আরও জায়গা প্রয়োজন।’

শত কিলোমিটার দুর্গম পথ পেড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে একদল রোহিঙ্গা নারী-শিশু। ছবি: ফোকাস বাংলা

শত কিলোমিটার দুর্গম পথ পেড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। ছবি: ফোকাস বাংলা

গত ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি ওই প্রতিবেদনে ক্যাম্পে থাকা শরণার্থীদের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যে পুষ্টিমান উন্নয়ন, রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, নতুন ক্যাম্পের জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনা এবং সবগুলো সমস্যা সমাধানে সতর্কতা বৃদ্ধি করা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে ছয় লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ পালিয়ে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে; যাদের ৯০ শতাংশই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ। ওই অভিযানে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচার গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, রাখাইনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালানো হয়েছে এবং এটি মানবতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অপরাধ

প্রিয় সংবাদ/শান্ত