কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সঞ্জীব চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।

সঞ্জীব চৌধুরীর গাড়ি থেমে যাওয়ার এক দশক আজ

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২১
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২১

(প্রিয়.কম) ‘এক পলকেই চলে গেল/আহ্ কি যে তার মুখখানা’- নিজের সৃষ্ট এ গানের মতো পলকেই চলে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী। মাত্র ৪২ বছর বয়সে ২০০৭ সালের এ দিনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন প্রতিভাবান এ শিল্পী।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালিন সময়ই শঙ্খচিল নামের একটি গানের দলে সংগীত চর্চা শুরু করেন সঞ্জীব। ১৯৯৬ সালে তিনি এবং বাপ্পা মজুমদার মিলে প্রতিষ্ঠা করেন জনপ্রিয় সংগীত ব্যান্ড দলছুটদলছুট এ তার ও বাপ্পার যৌথ প্রয়াসে যে সকল গানের জন্ম, এ প্রজন্মের নবীনদের জন্য তা আজও অনুপ্রেরণা উৎস।

শুধু সংগীতশিল্পীই নয়, তিনি একাধারে ছিলেন কবি, গীতিকার, সুরকার এবং একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক। ছাত্রাবস্থাতেই প্রচণ্ড মেধাবী সঞ্জীব চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে আশির দশকের প্রথম থেকেই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত হন। ভোরের কাগজ, আজকের কাগজ, যায়যায়দিনসহ দেশের স্বনামধন্য সব দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। দেশের প্রধান দৈনিকগুলোয় ফিচার বিভাগ চালুকরণে সঞ্জীব চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য।

শিল্প সাহিত্যের মানুষ হয়েও তিনি ছিলেন আপাদমস্তক রাজনৈতিক। স্কুল-কলেজ থেকেই রাজনীতির সংস্পর্শে আসা সঞ্জীব চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নেতৃত্বে গড়ে উঠে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সংগঠন। ৯০ এর স্বৈরাচার আন্দোলনে কবিতা আর বক্তৃতায় রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী নব্বই এর আন্দোলনে গলায় হারমোনিয়াম নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাৎক্ষণিক গান লিখে, তাতে তখনই সুর বসিয়ে গাইতেন স্বৈরাচার পতনের গান।

আমি তোমাকেই বলে দেবো, সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে, হাতের উপর হাতের পরশ, চোখটা এত পোড়ায় কেন, বায়োস্কোপ, তোমার ভাঁজ খোল আনন্দ দেখাও এবং গাড়ি চলে নাসহ অসংখ্য কালজয়ী গান সঞ্জীব চৌধুরীর কণ্ঠের জাদুতেই সৃষ্টি।

প্রিয় বিনোদন/গোরা