নিরব হোসেন। ছবি সংগৃহীত।
ফ্যাশনে নিরবের পছন্দের ব্র্যান্ড
আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:২১
(প্রিয়.কম) নতুন প্রজন্মের ট্রেন্ডি মডেলদের কথাই যদি বলি, তাহলে প্রথমেই চলে আসে নিরব হোসেন এর নাম। স্টাইলিস্ট এবং ফ্যাশনেবল মডেল হিসেবে এই তরুণ মডেলের বেশ খ্যাতি রয়েছে। ব্যাক্তিগত ফ্যাশন, স্টাইল আর পছন্দের সব ব্র্যান্ড নিয়ে প্রিয়.কমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা নিরব হোসেন। আজ তিনি আমাদের জানাচ্ছেন তার ব্যাক্তিগত পছন্দের সব পোশাক, সাজসজ্জা আর পছন্দের সব ব্র্যান্ডের কথা।
প্রিয়.কম: নিজের পোশাকের স্টাইল নিয়ে আপনার ব্র্যান্ড ফ্যাসিনেশন কেমন?
নিরব হোসেন: ভালো ব্র্যান্ডের প্রতি বরাবরই আমার ফ্যাসিনেশন রয়েছে। তাছাড়া ব্র্যান্ডের জিনিসে ঝামেলাও কম। যেমন ধরুন- ছেঁড়া, ফাটা কিংবা ফিটিং নিয়েও চিন্তা করতে হয় না। আর মূল বিষয়টি হচ্ছে ব্র্যান্ডের পোশাক পরলেই মনে হয়, তারা যেন ঐ পোশাকটি আমার গায়ের মাপ নিয়েই তৈরি করেছে। এ কারণেই বোধহয় ব্র্যান্ডের জিনিসই সবাই পছন্দ করে। আমিও তাদের বাইরে নই।
প্রিয়.কম: পোশাকের বেলায় আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড কোনটি?
নিরব হোসেন: মোটামুটি ব্র্যান্ডই আমার ভালো লাগে। তবে আরমানি, আডিডাস, রিভার আইল্যান্ড এবং জর্জিও এর ব্র্যান্ডগুলো থেকে কেনা ড্রেসই আমার বেশি পরা হয়।
প্রিয়.কম: আর কি ধরণের পোশাককে আপনি বেশি প্রাধান্য দেন?
নিরব হোসেন: জিন্স, টি-শার্ট আর ফুল স্লিভ শার্ট আমি বেশী পছন্দ করি।
প্রিয়.কম: অপছন্দের পোশাক কোনটি?
নিরব হোসেন: হাফ স্লিভ শার্ট আমার একদমই পছন্দ নয়। যতটা সম্ভব আমি হাফ স্লিভ শার্ট এড়িয়ে চলি।
প্রিয়.কম: অভিনয়ে প্রায় আপনাকে সানগ্লাস পরতে দেখা যায়। তো আপনার বেশির ভাগ সানগ্লাসগুলো কোথা থেকে কেনা?
নিরব হোসেন: কালো রঙের সানগ্লাস পরতে আমি খুবই পছন্দ করি। পছন্দের ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রাডা’র সানগ্লাস আমার বেশ পছন্দ। যেহেতু অভিনয় করি তাই শুটিং এর সময় আসলে একই সানগ্লাস বারবার পরা যায় না। তাই কালেকশনে একটু বেশি সানগ্লাস রাখতে হয়।
প্রিয়.কম: পুরুষদের তালিকায় ঘড়ি থাকবেই, আজ জানতে চাইবো আপনার পছন্দের ঘড়ি সম্পর্কে।
নিরব হোসেন: আমি ফাস্ট ট্র্যাক ব্র্যান্ডের ঘড়িই বেশী পরি। কারণ ফার্স্ট ট্র্যাক আমার কাছে কমফোর্টেবল লাগে। দেখতেও অনেকটা স্মুথ। স্টাইলের ব্যাপারে সব টাইপের ঘড়িই পরি। বেল্টের ঘড়ি তুলনামূলকভাবে বেশিই পরা হয়। তবে হ্যাঁ, একজিকিউটিভ বা ফরমাল প্রোগ্রামে আমি চেইন ঘড়ি বেশী প্রেফার করি। তাছাড়া ড্রেসের সঙ্গে যখন যেটা মানান সই, ঐ সময়ের জন্য তখন সেটাই পরি।
প্রিয়.কম: পোশাক, সানগ্লাস, ঘড়ি সবই হল। এবার জানতে চাই জুতা নিয়ে।
নিরব হোসেন: জুতার বেলায় কনভার্সের প্রতি আমার ফ্যাসিনেশন বেশি। আমার জুতার কালেকশনে কনভার্সই বেশি। আমার মেজো ভাই দেশের বাইরে থাকে। আমার বেশিরভাগ জুতাই ও কিনে নিয়ে আসে। তাই ওইগুলোই বেশী পরা হয়। আর নিজে পছন্দ করে কিনলে, সেটা পছন্দের উপর ডিপেন্ড করে। স্টাইলিস্ট জুতা আমার পছন্দ। কিছুদিন আগে কিনেছি সুপার ড্রাই ব্র্যান্ডের একটি কনভার্স। এরপর সম্প্রতি আমেরিকা থেকে মাইকেল জর্ডানের একটি কনভার্স কিনেছি। জুতাটা অনেক দাম দিয়ে কেনা। বাংলাদেশে এখন পরার সুযোগ হয়নি। আসলে জুতাটা পরে কোথায় ঘুরে বেড়াবো তাই খুঁজে পাচ্ছিনা। আমার শখের বশে অনেক দাম দিয়ে কেনা। তাই কোথায় পড়লে তা নষ্ট হবে না, তাই বুঝতে পারছিনা।
প্রিয়.কম: এত সব কথার মাঝে আপনার পরিবারের কথাই আর জানা হলো না। আপনার একমাত্র কন্যা সোহাইমা কেমন আছেন?
নিরব হোসেন: সোহাইমা এবং তার মা, দুজনই ভালো আছে। সোহাইমার বয়স এখন সাত মাসে পা দিয়েছে।
প্রিয়.কম: বাবা যেহেতু ফ্যাশন সচেতন, তার ফ্যাশন নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
নিরব হোসেন: কয়েকদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে কন্যার জন্য একটি জিন্স কিনে এনেছি। তাছাড়া ও এখনও খুবই ছোট তাই তেমন ভালো কোনো ব্র্যান্ডের পোশাক ওর জন্য কিনতে পারছি না। এক বছর পার হলে বাচ্চাদের অন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো থেকে সোহাইমার জন্য কিছু পোশাক কিনবো।
প্রিয়.কম: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমদের সময় দেওয়ার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
নিরব হোসেন: আনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
প্রিয় ফ্যাশন/সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
- ট্যাগ:
- ফ্যাশন
- নিরব হোসেন
- নিরব হোসেন
- ঢাকা