কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন নিতে পারলে শীতের প্রকোপেও ঠোঁট থাকবে কোমল। মডেল: নাতাশা, ছবি: রিপন।

শীতে ফেটেছে ঠোঁট? ব্যবহার করুন এই ৫ প্রাকৃতিক তেল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৭
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৭

(প্রিয়কম) আবহাওয়া বদলের সাথে সাথে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করছে। প্রতিদিন ঠাণ্ডা বাড়ছে একটু একটু করে, যা টের পাওয়া যাচ্ছে তাপমাত্রার তারতম্যের পাশাপাশি নিজের ত্বকের নানান ধরণের পরিবর্তনের মাঝে। ত্বকের অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি দেখা দিতে শুরু করে শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা। এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে মূলত ঠোঁটের কোমলতা ও আর্দ্রতা কমে যাবার ফলে । 

খুব স্বাভাবিকভাবেই,ঠোঁট ও ঠোঁটের ত্বকও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে। শুষ্ক ঠোঁট নষ্ট করে দিতে পারে পুরো চেহারার সৌন্দর্য। তাই, শুধুমাত্র মুখের ত্বকের যত্নই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন ঠোঁটের সঠিক যত্ন সঠিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে। জেনে নিন একদম প্রাকৃতিক কিছু তেল ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে ঠোঁটের পরিপূর্ণ যত্ন নেওয়া যাবে।

আমন্ড অয়েল

আমন্ড অয়েল হলো খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক তেল যা শুষ্ক ও রুক্ষ ঠোঁটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ঠোঁটের মড়া চামড়া দূর করতেও আমন্দ অয়েল কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারণে, মরা চামড়া ঠোঁটে রয়ে যাওয়ার ফলেই ঠোঁট অনেক বেশি অমসৃন ও অনমনীয় হয়ে ওঠে। সবচাইতে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য পুরো শীতকাল জুড়ে রাতের বেলা ঘুমানোর আগে ঠোঁটে আমন্ড অয়েল দিয়ে ঘুমিয়ে সকালে ঠোঁট ধুয়ে ফেলতে হবে।

অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল

খসখসে হয়ে যাওয়া ও ফেটে যাওয়া ঠোঁটের ক্ষেত্রে খুব কম তেলই দ্রুত কাজ করে থাকে। তার মাঝে প্রাকৃতিক তেল অলিভ অয়েল হলো অন্যতম। যা অন্যন্য সকল তেলের চাইতে অনেক বেশি ভালো ও দ্রুত কাজ করে থাকে। শীতকাল তো বটেই, পুরো বছর জুড়েই ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলাদা কোন বিশেষ নিয়ম নেই। শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ তেল ঠোঁটে লাগিয়ে নিলেই হবে। প্রতিদিন দুইবার করে অলিভ অয়েল ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের কোন সমস্যাই আর দেখা দেবে না।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেল শুধুমাত্র যে চুলের জন্যে উপকারী ও চুলের জন্যেও ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয়! ত্বক ও ঠোঁটের যত্নেও নারিকেল তেল সমানভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ও উপকারীও বটে। নারিকেল তেলে বিদ্যমান পুষ্টিকর উপাদান সমূহ ঠোঁটের ত্বককে হাইড্রেটেড ও কোমল রাখতে কাজ করে। নারিকেল তেল ব্যবহারের জন্য তুলার বলের সাহায্যে ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিলেই হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্যে প্রতিদিনের রূপচর্চা ও ত্বকের পরিচর্যায় নারিকেল তেল রাখার চেষ্টা করতে হবে।

ভিটামিন-ই অয়েল

ঠোঁটের পরিপূর্ণ যত্নের জন্য ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল সবচাইতে উপকারী একটি উপাদান। এটা ঠোঁটের ত্বকে পুষ্টি যুগিয়ে ঠোঁটের ত্বক নরম ও কোমল করতে সাহায্য করে থাকে। তুলের বল অথবা হাতের সাহায্যে ঠোঁটের উপরিভাগে ভিটামিন-ই তেল লাগিয়ে নেওয়া যাবে যে কোন সমস্যেই। বিশেষ করে ঠোঁটের যেকোন সমস্যার ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই অয়েল খুব ভালো কাজ করে থাকে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল

প্রাকৃতিক উপাদান ও তেলের মাঝে ল্যাভেন্ডার অয়েল হলো অন্যতম দারুণ একটি উপাদান যা ঠোঁটের পরিচর্যার জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শীতকালীন সময়ে ঠোঁটের ফাটাভাব ও শুষ্কভাব দূর করার ক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার অয়েল অনেক বেশী কার্যকরি। ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহারের জন্য কিছু পরিমাণ নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে এরপর তুলার বলের সাহায্যে ঠোঁটে লাগাতে হবে। দিনের মাঝে যেকোন সময়ে ঠোঁটে ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করা যাবে।

সূত্র: Boldsky

প্রিয় লাইফ/ রুমানা বৈশাখী