হবিগঞ্জের মানচিত্র।
নবীগঞ্জে ৩ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১১:২৬
(প্রিয়.কম) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামে মেহেরুননেসা (৩০) নামে তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে সময় তার তিন শিশুকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার পর থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন আত্মগোপন করেছে।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেরুননেসা ওই গ্রামের দিনমুজুর সামিজুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেরুননেসার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে একই গ্রামের আফজল মিয়ার স্ত্রী সামিরুনেসার। প্রায়ই সামিজুল ইসলাম বাড়ি না থাকার সুযোগে আফজল মিয়া ও তার স্ত্রী সামিরুনেসা নির্যাতন চালাতো মেহেরুননেসার উপর। বিষয়টি মেহেরুননেসা তার স্বামী সামিজুল ইসলামকে জানাতো।
আহত শিশু তাসলিমা (৫), মাসুমা (২) ও কামিনা (৬) জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আফজল মিয়া, তার স্ত্রী সামিরুনেসা ও পুত্র রুহেল মিয়া তাদের মাকে বেধড়ক মারপিট করে। সে সময় শিশুরা এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়।
এক পর্যায়ে সামিরুনেসা লাঠি দিয়ে মেহেরুননেসার মুখে আঘাত করলে তিনি সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন মেহেরুননেসাসহ তার আহত সন্তানদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেহেরুননেসাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তিন শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন তাকে জানিয়েছে বিকালে মেহেরুননেসা কাজ করছিল। এ সময় সে পান খেয়ে কাজ করার সময় মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায়।
তিনি আরো জানান, যেহেতু তার স্বামী সামিজুলের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে সেহেতু ময়নাতদন্তের পর এর মূল কারণ জানা যাবে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপর একটি সূত্র জানায়, মেহেরুননেসা ও সামিরুনেসার দুইজনের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। সম্প্রতি সামিরুনেসার পুত্র রুহেল ও মেহেরুননেসার কন্যা কামিনার মাঝে ঝগড়া হলে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন