কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। ছবি: প্রিয়.কম

‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নিয়েছে মিয়ানমার’

শেখ নোমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৮
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৮

(প্রিয়.কম) মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মায়িন্ট হাতুই। ১৮ নভেম্বর শনিবার রাশিয়ার মস্কোতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। খবর বাসসের। 

মায়িন্ট হাতুই বলেন, ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।  

সেসময় মোহাম্মদ নাসিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে সেদেশের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে তাদের বাসস্থানসহ খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।

নাসিম বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন যাবত নিজ দেশেই স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত থেকে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছে। সেদেশের সরকারের অবহেলার কারণে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাই তাদের নাই। তারা বাংলাদেশে আশ্রয় এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অন্য দেশের প্রায় আট লাখ নাগরিকদের জন্য এভাবে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সম্ভব না। তাই অবিলম্বে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করতে তিনি মিয়ানমারের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। 

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেডরোস এডহানম গেব্রেইসাসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। 

সাক্ষাতের সময় মন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্জনগুলো তুলে ধরে এক্ষেত্রে সহায়তা করায় সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আগামীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কেও অবহিত করে সংস্থার অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

রাশিয়ার মস্কোতে চলমান ‘টেকসই উন্নয়নের যুগে যক্ষা নির্মূলে করণীয়’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। গত ১৬ নভেম্বর সম্মেলন শুরু হয়। একশটির বেশি দেশের মন্ত্রী ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত